ব্যয় সংক্রান্ত সীমা নির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি কমিটি গঠন করেছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ভোটদাতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতির সূচকের ঊর্ধ্বগতি এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের ব্যয় সংক্রান্ত ঊর্ধ্বসীমার বিষয়ে পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে প্রাক্তন আইআরএস আধিকারিক ও তদন্ত শাখার মহানির্দেশক শ্রী হরিশ কুমার এবং ব্যয় সংক্রান্ত বিভাগের মহানির্দেশক ও মহাসচিব শ্রী উমেশ সিনহা রয়েছেন।

কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে আইন ও বিচার মন্ত্রক ১৯শে অক্টোবর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ১৯৬১ সালের নির্বাচন সংক্রান্ত নিয়মাবলীর ৯০ নং ধারায় সংশোধন করা হয়েছে। নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যয়ের ঊর্ধ্বসীমা সংশোধন অনুসারে ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে যা আগামী নির্বাচনগুলির ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন -  Shaheen Afridi: শাহীন শাহ আফ্রীদি বিয়ে করলেন, শাহিদ আফ্রিদির মেয়েকে, বাবর আজম বার্তা দিলেন

২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের ব্যয় সংক্রান্ত ঊর্ধ্বসীমা শেষবার সংশোধন করা হয়েছিল। এরপর, ২০১৮ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার নির্বাচনের প্রেক্ষিতে আরেকবার তা সংশোধন করা হয়।

বিগত ছয় বছরে ব্যয় সংক্রান্ত ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করা হয়নি। যদিও এই সময়ে ভোটদাতাদের সংখ্যা ৮৩ কোটি ৪০ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯ সালের হিসেবে ৯১ কোটিতে পৌঁছেছে। বর্তমানে দেশে ভোটদাতার সংখ্যা ৯২ কোটি ১০ লক্ষ। এছাড়াও, মূল্যবৃদ্ধির সূচক অনুসারে ২০১৪ সালে যেখানে সূচক ছিল ২২০, ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৮০। বর্তমানে এই সূচক ৩০১-এ পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন -  Nuts: শীতকালে রোগ প্রতিরোধে বাদামের গুরুত্ব

কমিটি যে বিষয়গুলি বিবেচনা করবে সেগুলি হল :

১) বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোটদাতাদের সংখ্যার পরিবর্তন যাচাই করে ব্যয় সংক্রান্ত ঊর্ধ্বসীমার বিষয়ে মূল্যায়ন করবে।

২) মূল্যবৃদ্ধির সূচকের পরিবর্তন এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলিতে প্রার্থীদের ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়গুলি মূল্যায়ন করা হবে।

আরও পড়ুন -  Postal Workers: ডাক পরিষেবার ২ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

৩) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

৪) ব্যয় সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলিও মূল্যায়ন করা হবে।

৫) অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ও বিবেচনার মধ্যে থাকবে।

কমিটি গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। সূত্র – পিআইবি।