জলশক্তি মন্ত্রক জল জীবন মিশনের আওতায় রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অন্তর্বর্তীকালীন অগ্রগতির মূল্যায়ন করছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক জল জীবন মিশনের আওতায় সর্বজনীন পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কর্মসূচির আওতায় রূপায়িত কাজকর্মের অগ্রগতির মূল্যায়ন শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি ‘জল জীবন মিশন’-এ ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারে পাইপবাহিত জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য স্থির হয়েছে। কর্মসূচির রূপায়ণে অগ্রগতি মূল্যায়নের জন্য মন্ত্রক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা শুরু করেছে। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গ্রামীণ পরিবারগুলিতে পাইপবাহিত জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান অগ্রগতির খতিয়ান পেশ করছে। একইসঙ্গে, জল জীবন মিশনের আওতায় সর্বজনীন জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য পূরণে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার কথাও মন্ত্রককে জানানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  রাষ্ট্রপতি বলেছেন মহামারী যেভাবে বিশ্বজুড়ে মানুষের জীবন এবং অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সেখানে বুদ্ধের বার্তা আশার আলোর মতো পথ দেখিয়েছে

আজ সিকিমের পক্ষ থেকে জল জীবনের মিশনের আওতায় অন্তর্বর্তীকালীন অগ্রগতির খতিয়ান পেশ করা হয়। এই রাজ্যে পরিবারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫ হাজার। এর মধ্যে ৭০,৫২৫টি পরিবারে (৬৭ শতাংশ) পাইপবাহিত জল সংযোগ রয়েছে। ২০২১-২২-এর মধ্যে সমস্ত পরিবারে পাইপবাহিত জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যটিতে জল সরবরাহের এক উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে এবং ৪১১টি গ্রামে জল সরবরাহ কর্মসূচি কার্যকর হয়েছে। এর পাশাপাশি, তপশিলি জাতি / উপজাতি অধ্যুষিত সমস্ত গ্রামে এবং উন্নয়নে আগ্রহী জেলার গ্রামগুলিতে ২০২০-২১-এর মধ্যে জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আরও ২১১টি গ্রামে ৭,৭৯৮টি জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হলেই ১০০ শতাংশ সাফল্য অর্জিত হবে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যটি যত দ্রুত সম্ভব অসমাপ্ত কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছে।

আরও পড়ুন -  ভারতের 75 তম স্বাধীনতা দিবস এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের 50 তম বার্ষিকী উপলক্ষে সাইকেল র‍্যালি

২০২০-২১-এ সিকিমে জল জীবন মিশন কর্মসূচি রূপায়ণের জন্য ৩১ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি রূপায়ণের দ্বিতীয় পর্বে প্রাপ্য অর্থ সংগ্রহ করার জন্য রাজ্য সরকার দ্রুততার সঙ্গে তহবিল সদ্ব্যবহার শুরু করেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, এই রাজ্যে গ্রামাঞ্চলের স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় ৪২ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এই অর্থের ৫০ শতাংশই জল সরবরাহ, বর্জ্য জল পরিচালনা, জল পরিশোধন ও পুনর্ব্যবহার সহ জল সরবরাহ কর্মসূচিগুলির দীর্ঘমেয়াদি রক্ষণাবেক্ষণ খাতে খরচ করা হবে।

আরও পড়ুন -  ‘জীবনে প্রথমবার মদ খেয়েছিলাম শুভেন্দুর বাবার সঙ্গেই,’ কিন্তু কেন এমন মন্তব্য?

পর্যাপ্ত পরিমাণে জলসম্পদের দিক থেকে সিকিমের পরিচিতি রয়েছে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও নগরায়নের দরুণ বিশুদ্ধ জলের ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। জল সরবরাহের দিক থেকে রাজ্যটিতে ভালো পরিকাঠামো থাকলেও প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারে যাতে জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়া যায় তার জন্য মূলধনের প্রয়োজন। এই লক্ষ্যেই জল জীবন মিশন কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি বাড়িতে জল সংযোগ পৌঁছে দিয়ে মানুষের জীবনযাপনের মানোন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। সূত্র – পিআইবি।