বিশ্বে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় ভারতে মৃত্যু হার সর্বনিম্ন

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ দেশে গত ১৪ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ১,১০০-র কম

২২ রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় মৃত্যু হার জাতীয় গড়ের তুলনায় কম
প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় ভারতে সর্বনিম্ন মৃত্যু হারের প্রবণতা অব্যাহত থেকে আজ এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১। গত ২ অক্টোবর থেকে নিয়মিতভাবে দেশে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় ১,১০০-র কম মৃত্যু হয়েছে। লাগাতার মৃত্যু হার নিম্নমুখী হওয়ার দরুণ ২২টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় মৃত্যু হার জাতীয় গড়ের তুলনায় কম।

দেশে মৃত্যু হার নিম্নমুখী হওয়ার পাশাপাশি, বর্তমানে এই হার পৌঁছেছে ১.৫২ শতাংশে, যা গত ২২ মার্চ থেকে সর্বনিম্ন।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মোকাবিলার অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার কেবল সংক্রমণ প্রতিরোধ করাই নয়, সেইসঙ্গে মৃত্যু হার কমিয়ে মানুষের জীবনরক্ষার ওপরও অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সম্মিলিত প্রয়াসের দরুণ দেশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ব্যবস্থা মজবুত হয়েছে। বর্তমানে দেশে স্বতন্ত্র কোভিড হাসপাতালের সংখ্যা ২০,২১২। কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড-১৯ চিকিৎসার ক্ষেত্রে আদর্শ পরিচর্যা নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছে।

আরও পড়ুন -  Holiday: টানা বন্ধ থাকছে স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি, তালিকা দেখুন

আইসিইউ-তে থাকা সঙ্কটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আরও সুদক্ষ করে তুলতে নতুন দিল্লির এইমস প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ই-আইসিইউ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। দ্বিসাপ্তাহিক এই কর্মসূচিতে প্রতি মঙ্গল ও শুক্রবার ভিডিও কনসালটেশন সভার মাধ্যমে নতুন দিল্লির এইমস-এর চিকিৎসকরা রাজ্যস্তরীয় হাসপাতালগুলিতে আইসিইউ-এর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করছেন। ই-আইসিইউ কর্মসূচি গত ৮ জুলাই থেকে চালু রয়েছে।

আজ পর্যন্ত ৩৪টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৩৩৪টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে সামিল করে এ ধরনের ২৩টি ভিডিও পরামর্শ অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়েছে। দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের তুলনায় অধিক সংখ্যায় সুস্থতার ধারা অব্যাহত রেখে গত ২৪ ঘন্টায় ৭০,৩৩৮ জন আরোগ্য লাভ করেছেন। অন্যদিকে, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩,৩৭১ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৭৯ জন। এর ফলে, সুস্থতার সংখ্যা এবং সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় ফারাক বেড়ে হয়েছে ৫৬ লক্ষ ৪৯ হাজার ২৫১। সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বর্তমানে আটগুণ বেশি।

আরও পড়ুন -  Messi Announced: কি জানালেন মেসি? অস্ট্রেলিয়াকে রুখে দিয়ে

দেশে সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যা নিরন্তর কমছে। বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ১০.৯২ শতাংশ বা ৮ লক্ষ ৪ হাজার ৫২৮। অধিক সংখ্যায় আরোগ্য লাভের ফলে জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৮৭.৫৬ শতাংশ।

১০টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে সদ্য আরোগ্য লাভকারীদের ৭৮ শতাংশই রয়েছেন। একদিনেই সর্বাধিক ১৩ হাজারের বেশি রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন কেবল মহারাষ্ট্র থেকেই।

আরও পড়ুন -  Train Cancelled: ৫৪ টি এক্সপ্রেস ট্রেন শুক্রবার পর্যন্ত বাতিল, হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে কাজ চলছে

১০টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে নতুন করে আক্রান্তদের ৭৯ শতাংশই রয়েছেন। সংখ্যার বিচারে সর্বাধিক ১০ হাজারের বেশি নতুন করে আক্রান্তের খবর মিলেছে মহারাষ্ট্র থেকে। কর্ণাটক থেকে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজারের বেশি। দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাজনিত কারণে আরও ৮৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে প্রায় ৮২ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক ৩৩৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে মহারাষ্ট্র থেকে।

১৩টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় মৃত্যু হার জাতীয় গড়ের তুলনায় কম। সূত্র – পিআইবি।