খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ তথা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর আজ ভার্চুয়ালী ভারত আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষি সপ্তাহ উদযাপনের সূচনা করেছেন। এবার এই উৎসব চলব ১৬ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। এই উপলক্ষ্যে ভাষণে শ্রী তোমর বলেন, ভারতের খাদ্য বাজারে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের অংশ ৩২ শতাংশ। তিনি বলেন, খাদ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার উৎপাদনশীলতার পাশাপাশি কৃষকদের আয় বাড়াতে পারে। এই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করেছেন।
খাদ্য ও কৃষি ক্ষেত্রের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে শ্রী তোমর বলেন, ভারতের কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি অত্যন্ত সুদৃঢ়। তাই যথাযথ বিপণন এবং সর্বশেষ প্রযুক্তির প্রয়োগ কৃষি ক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। সভাবতই এই বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রয়োগ বাড়াতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে শ্রী তোমর জানান। কৃষিক্ষেত্রে জিডিপির বিকাশ হার ৩.৪ শতাংশ বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী জাানান, এই ক্ষেত্রটি কোভিড – ১৯ এর সময় ভারতের অর্থনীতির অগ্রগতিতে বড় অবদান রেখেছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও শিল্প মন্ত্রক, খাদ্য ও কৃষি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে “অন্ন দেব ভবঃ” সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক অভিযান গ্রহণ করেছে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও শিল্প মন্ত্রকের উদ্যোগগুলি ব্যাখ্যা করে শ্রী তোমর জানান, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় তাঁর মন্ত্রক পিএম ফর্মালাইজেশন অফ মাইক্রো ফুড এন্টারপ্রাইজেস বা পিএমএফএমই কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। এই খাতে ২০,০০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। কর্মসূচীর আওতায় ২ লক্ষ মাইক্রোফুড বা অতিক্ষুদ্র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটকে সহজ শর্তে ভর্তুকি সহ ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। শ্রী তোমর আরো জানান, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও শিল্প মন্ত্রক ইতিমধ্যেই বাণিজ্য মন্ত্রকের সঙ্গে রপ্তানি বাজারের জন্য প্রস্তুত করা খাবার ও ফলমূল বা শাক-সব্জির একটি তালিকা তৈরি করেছে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও শিল্প মন্ত্রক আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য পিএম কিষাণ সম্পদ কর্মসূচী শুরু করেছে। এই কর্মসূচীর উদ্দেশ্য হল কৃষি জমি থেকে খুচরো বিক্রয় কেন্দ্র পর্যন্ত এক কার্যকর সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তার মন্ত্রক টিওপি কর্মসূচীর সম্প্রসারণ করে টোটাল করেছে। কর্মসূচীর আওতায় অতিরিক্ত শস্য উৎপাদন হয় এমন এলাকা থেকে ভোজ্যশস্যের পরিবহণ খাতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া।
কৃষি ও খাদ্য সংক্রান্ত প্রযুক্তির চতুর্দশ সভায় শ্রী তোমর জানান, কৃষি পণ্য, পরিষেবা ও প্রযুক্তির সদব্যবহার তুলে ধরার ক্ষেত্রে এটি একটি উপযুক্ত মঞ্চ। তিনি বলেন, এই সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষই সর্বশেষ প্রযুক্তি, সমাধান ও সুযোগ – সুবিধাগুলি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করে উপকৃত হবেন।
ভারতীয় শিল্প মহাসংঘ বা সিআইআই-এর সঙ্গে সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক, মৎস্য চাষ ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রক এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রক যৌথভাবে ১৬ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথমবার ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ভারত – আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষি সপ্তাহ উদযাপন করেছে। এই উপলক্ষ্যে সিআইআই-এর সভাপতি শ্রী উদয় কোটাক, সিআইআই-এর উত্তরাঞ্চলীয় সভাপতি শ্রী নিখিল সোহানী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র – পিআইবি।