খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দেড় মাস পর প্রথমবার ৮ লক্ষের কম
মোট আক্রান্তের তুলনায় সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের হার কেবল ১০.৭০ শতাংশ
কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত আরও একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছে। দেশে গত দেড় মাসে এই প্রথমবার সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষের নিচে নেমেছে। আজ পর্যন্ত দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮৭। এই সংখ্যা মোট আক্রান্তের তুলনায় কেবল ১০.৭০ শতাংশ। গত ১ সেপ্টেম্বর সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৯৬।
ভারতে দৈনিক ভিত্তিতে কোভিড আক্রান্ত রোগীদের সুস্থতার সংখ্যা উচ্চহারে বৃদ্ধি পাওয়ার দরুণ আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার কমছে। দেশে সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৯৫। এর ফলে, সুস্পষ্টভাবে আক্রান্তের সংখ্যা এবং আরোগ্য লাভের মধ্যে ফারাক আজ পর্যন্ত আরও বেড়ে হয়েছে ৯৭ লক্ষ ২৯ হাজার ৫০৮।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৭০,৮১৬ জন করোনা রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। অন্যদিকে, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২,২১২ জন। জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার আরও বেড়ে হয়েছে ৮৭.৭৮ শতাংশ।
সারা দেশে চিকিৎসা পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ, কেন্দ্র সরকারের জারি করা আদর্শ চিকিৎসা বিধির কার্যকর রূপায়ণ, রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে আক্রান্তদের উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান তথা চিকিৎসক ও অ-চিকিৎসা কর্মীদের আন্তরিকতার ফলে সুস্থতার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে এবং মৃত্যু হার লাগাতার নিম্নমুখী। বিশ্বে ভারতই হল একমাত্র দেশ যেখানে উচ্চহারে আরোগ্য লাভের প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে এবং মৃত্যু হারও ক্রমশ নিম্নমুখী ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বাপেক্ষা কম। আজ পর্যন্ত ভারতে মৃত্যু হার ১.৫২ শতাংশ। সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার হ্রাস পাওয়ার ফলেই মৃত্যু হার নিরন্তর কমছে।
১০টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে সদ্য আরোগ্য লাভকারীদের ৭৮ শতাংশই রয়েছেন। মহারাষ্ট্র থেকে একদিনেই সর্বাধিক ১৩ হাজারের বেশি করোনা রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন। কর্ণাটক থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজারের বেশি।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৬২,২১২ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ৭৯ শতাংশ ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। সর্বাধিক ১১ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্র থেকে। কর্ণাটক ও কেরল থেকে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি।
দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৮৩৭ জনের করোনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮২ শতাংশই মারা গেছেন ১০টি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে। সর্বাধিক ৩০৬ জনের একদিনেই মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে।
বিশ্ব মহামারীর বিরুদ্ধে সমবেতভাবে লড়াইয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গ সহ কেরল, কর্ণাটক, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে উচ্চস্তরীয় কেন্দ্রীয় দল মোতায়েন করেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে এই রাজ্যগুলিতে সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কেন্দ্রীয় দলগুলি সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সাহায্য করবে। এছাড়াও, সংক্রমণ নির্দিষ্ট একটি এলাকায় সীমিত রাখা, নজরদারি চালানো, নমুনা পরীক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে কেন্দ্রীয় দলগুলি রাজ্য সরকারগুলিকে প্রয়োজনীয় সাহায্য ও পরামর্শ দেবে। সময়মতো নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলি দূর করতে কেন্দ্রীয় দলগুলি রাজ্য সরকারকে সঠিক দিশা দেখাবে। সূত্র – পিআইবি।