খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ দেশের সবথেকে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা ౼এনটিপিসি লিমিটেড উত্তর প্রদেশের রিহান্দ প্রকল্পের থেকে উৎপাদিত ফ্লাই অ্যাশ সস্তায় অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত ফ্লাই অ্যাশের পুরো ব্যবহার নিশ্চিত করার যে উদ্যোগ এনটিপিসি নিয়েছে, এর ফলে সেই লক্ষ্য অর্জনে সংস্থাটি এক ধাপ এগোল।
রিহান্দের সুপার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৪৫৮ কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের টিকারিয়ায় এসিসি সিমেন্ট তৈরির কারখানায় ফ্লাই অ্যাশ পাঠানো শুরু হয়েছে। এনটিপিসি-র রিহান্দ কেন্দ্রের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শ্রী বালাজি আয়েঙ্গার ৩৪৫০ মেট্রিক টন ছাই মালগাড়ি করে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। পূর্ব মধ্য রেলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী ললিত ত্রিবেদী ও এসিসির সাপ্লাই চেনের প্রধান শ্রী সুরেশ রাঠি এই প্রক্রিয়া শুরু করার অনুষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে অংশ নিয়েছেন। এনটিপিসি এই ছাই পরিবহণের জন্য পূর্ব মধ্য রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ছাই ভর্তি ওয়াগন গুলি থেকে কোন সমস্যা এড়াতে সেগুলি টারপুলিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই যেমন ব্যবহার করা যাবে, এগুলি পরিবহণ করে রেলেরও আয় বাড়বে। রেল পরিবহণ পরিবেশ বান্ধব এবং কম খরচ সাপেক্ষ। ২০১৯-২০ অর্থ বর্ষে প্রায় চারকোটি তেতাল্লিশ লক্ষ তিরিশ হাজার টন ছাই বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশে উৎপাদিত ৭৩.৩১% ছাই কাজে লাগানো গেছে। উৎপাদিত ছাই থেকে উপার্জনের জন্য এনটিপিসি নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ফ্লাই অ্যাশের সাহায্যে জিও-পলিমার সড়ক নির্মাণ। উন্নত ছাই বিদেশে রপ্তানীর জন্য এনটিপিসি ফ্লাই অ্যাশ ক্ল্যাসিফায়ার ইউনিট তৈরি করবার পরিকল্পনা করেছে।
এনটিপিসি বর্তমানে কয়লা থেকে ২৪টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে, গ্যাস ও তরল জ্বলানী থেকে সাতটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে, ১৩টি পূণর্নবিকরণযোগ্য কেন্দ্র ও ২৫টি অধীনস্থ এবং যৌথ উদ্যোগের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মোট ৬২.৯ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ভবিষ্যতে নানা কেন্দ্র থেকে আরো ২০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ পূণর্নবিকরণযোগ্য জ্বালানীর মাধ্যমে তৈরি হবে। সূত্র – পিআইবি।