খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূল বিষয়গুলি হল :
১. আমার প্রিয় দেশবাসী, এই পবিত্র অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
২. করোনার এই অভূতপূর্ব সময়ে, ‘সেবা পরম ধর্ম ’এই মন্ত্রে করোনা যোদ্ধারা কাজ করছেন। আমাদের চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্যাল কর্মী, অ্যাম্বুলেন্সের কর্মী, সাফাই কর্মচারী, পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং অন্য আরও অনেকে দিন-রাত একভাবে কাজ করে চলেছেন।
৩. প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে দেশের নানা অংশে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সংকটের এই মুহূর্তে তিনি সহ-নাগরিকদের সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
৪. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম সারা বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণার সৃষ্টি করেছিল। সম্প্রসারণবাদের ধারণার ফলে বেশ কয়েকটি দেশ দাসত্বের শিকার হয়। ভয়াবহ যুদ্ধের সময়ও ভারত তার স্বাধীনতা সংগ্রামকে অক্ষুন্ন রেখেছিল।
৫. কোভিড মহামারীর প্রার্দুভাবের সময়, ১৩০ কোটি ভারতবাসী আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই আত্মনির্ভর ভারতের ভাবনা ভারতবাসীর মনের মধ্যে রয়েছে। এই স্বপ্ন আজ শপথে পরিণত হয়েছে। ১৩০ কোটি ভারতবাসী আজ আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলাকে মন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আমার সহ-নাগরিকদের ক্ষমতা, প্রত্যয় এবং সম্ভাবনার ওপর আমার আস্থা রয়েছে। একবার আমরা যেটা করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি, সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নিই না।
৬. আজ সারা বিশ্ব পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত এবং পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সময় এসেছে। এই কারণে ভারতকে আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে হবে। কৃষি, মহাকাশ থেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা౼আত্মনির্ভর ভারত হয়ে ওঠার জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমি আশাবাদী যে মহাকাশ ক্ষেত্রকে উন্মুক্ত করায় আমাদের যুব সম্প্রদায়ের জন্য নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং তাঁদের দক্ষতা ও সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করার আরও রাস্তা খুলে যাবে।
৭. মাস কয়েক আগে আমাদের বিদেশ থেকে এন-৯৫ মাস্ক, পিপিই কিট এবং ভেন্টিলেটর আমদানি করতে হত। কিন্তু বর্তমানে আমরা এগুলিকে সারা বিশ্বে রপ্তানী করতে পারছি।
৮. ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ছাড়াও আমাদের ‘মেক ফর ওয়ার্ল্ড’ মন্ত্রে দীক্ষিত হতে হবে।
৯. ১১০ লক্ষ কোটি টাকার ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইন প্রজেক্ট আমাদের সার্বিক পরিকাঠামোয় গতি আনবে। আমাদের এখন মাল্টিমডেল যোগাযোগ সংক্রান্ত পরিকাঠামোয় দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে। আমরা এককভাবে কাজ করতে পারবো না, সর্বাঙ্গীণ ও সুসংহত পরিকাঠামোর দিকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রায় ৭ হাজার প্রকল্পকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর ফলে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে নতুন যুগের সৃষ্টি হবে।
১০. আমাদের দেশ থেকে কাঁচামাল নিয়ে গিয়ে তৈরি সামগ্রী হিসেবে সেগুলি ফেরত নিয়ে আসা আর কতদিন চলবে। একটা সময় ছিল যখন আমাদের কৃষি ব্যবস্থা ছিল পশ্চাদপদ। সেই সময় সব চাইতে বড় চিন্তার বিষয় ছিল দেশবাসীর জন্য কিভাবে অন্নের সংস্থান করা যাবে। আজ, আমরা শুধুমাত্র আমাদের দেশের মানুষদেরই অন্ন সংস্থান করছি না, পৃথিবীর বহু রাষ্ট্রেও খাদ্যসামগ্রী পাঠাচ্ছি। আত্মনির্ভর ভারতের অর্থ শুধুমাত্র আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোই নয় আমাদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতাকেও বৃদ্ধি করতে হবে।
১১. সারা বিশ্ব আজ দেখছে কিভাবে ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করে চলেছে । এর ফলে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আগের সমস্ত রেকর্ডকে ভেঙেছে। কোভিড মহামারীর সময়ও প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
১২. কে কল্পনা করতে পেরেছিলেন যে দেশের দরিদ্র মানুষদের জন ধন অ্যাকাউন্টে সরাসরি লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাঠানো হবে? এপিএমসি আইনের বিরাট পরিবর্তন করে কে ভেবেছিলেন যে কৃষকদের সুবিধা করা হবে? এক দেশ- এক রেশন কার্ড, এক দেশ- এক কর, দেউলিয়া বিধি ও ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণ আজ বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।
১৩. আমরা মহিলাদের ক্ষমতায়ণের জন্য কাজ করেছি- নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীতে মহিলারা আজ অভিযানে অংশ নিচ্ছেন, তাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমরা তিন তালাক প্রথা বিলোপ করেছি এবং মহিলাদের জন্য মাত্র ১ টাকা দিয়ে স্যানিটারি প্যাডের ব্যবস্থা করেছি।
১৪. আমার প্রিয় দেশবাসী, আমরা আজ বলছি- সমর্থমূল স্বতন্ত্রিয়ম, শ্রমমূলাম বৈভবম। একটি সমাজের শক্তি, একটি দেশের স্বাধীনতা হল তার ক্ষমতা এবং তার সমৃদ্ধি ও প্রগতির উৎস হল তার শ্রমশক্তি।
১৫. সাত কোটি দরিদ্র পরিবারকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে, ৮০ কোটির বেশি মানুষকে রেশন কার্ডের মাধ্যমে অথবা রেশন কার্ড না থাকলেও বিনামূল্যে খাদ্য দেওয়া হয়েছে, ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষরা যাতে তাঁদের গ্রামে কর্মসংস্থানের সুযোগ পান সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৬. ‘ভোকাল ফর লোকাল’, রি-স্কিল এবং আপ-স্কিল উদ্যোগে দেশের যেসব নাগরিক দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন তাদের জন্য স্বনির্ভর অর্থনীতির ব্যবস্থা করা হবে।
১৭. দেশের অনেক অঞ্চল উন্নয়নের নিরিখে পিছিয়ে ছিল। এ ধরণের ১১০টি জেলাকে চিহ্নিত করে সেগুলিকে উচ্চাকাঙ্খী জেলার মর্যাদা দিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে এই অঞ্চলের লোকেরা ভালো শিক্ষা, ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং আরও ভালো কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
১৮. আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার- তাই স্বাবলম্বী কৃষি ও আত্মনির্ভর কৃষক দেশের জন্য জরুরি। কৃষকদের আধুনিক পরিকাঠামো সরবরাহ করতে কয়েকদিন আগে ১ লক্ষ কোটি টাকার ‘কৃষি পরিকাঠামো তহবিল’ তৈরি করা হয়েছে।
১৯. এই লালকেল্লা থেকেই গত বছর আমি জল জীবন মিশনের ঘোষণা করেছিলাম। আজ এই মিশনের আওতায় দৈনিক ১ লক্ষের বেশি বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
২০. মধ্যবিত্তদের পেশাদারিত্বের ক্ষমতা শুধু দেশেই নয় সারা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সুযোগের প্রয়োজন, তাঁদের সরকারি হস্তক্ষেপ থেকে স্বাধীনতার প্রয়োজন।
২১. এই প্রথমবার গৃহঋণের ইএমআই ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিশেষ ছাড় পাচ্ছে। গত বছর হাজার হাজার নির্মীয়মান বাড়ির কাজ শেষ করার জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল তৈরি করা হয়েছে।
২২. আত্মনির্ভর ভারত, আধুনিক ভারত, নতুন ভারত, সমৃদ্ধ ভারত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দেশে শিক্ষার অত্যন্ত প্রয়োজন। এই ভাবনা থেকে দেশ নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি পেয়েছে।
২৩. করোনার সময়ে আমরা দেখেছি ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি কিভাবে ভূমিকা পালন করেছে। গত মাসেই শুধুমাত্র ভিম ইউপিআই-য়ের মাধ্যমে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
২৪. ২০১৪ সালের আগে দেশে মাত্র ৫ ডজন গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবারের যোগাযোগ ছিল। গত ৫ বছরে দেশে দেড় গ্রাম পঞ্চায়েতে অপটিক্যাল ফাইবারের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। দেশের ৬ লক্ষ গ্রামের সবগুলিতেই আগামী ১ হাজার দিনের মধ্যে অপটিক্যাল ফাইবারের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে।
২৫. আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের অভিজ্ঞতা বলে যখন আমাদের দেশের মহিলারা কিছু করার সুযোগ পান তখন তাঁরা দেশকে গৌরবান্বিত করেন, শক্তিশালী করেন। আজ মহিলারা শুধু মাটির নিচে কয়লা খনিতেই কাজ করছেন না, তাঁরা যুদ্ধ বিমান চালিয়ে আকাশের নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছেন।
২৬. দেশে যে ৪০ কোটি জনধন অ্যাকাউন্ট চালু হয়েছে তার মধ্যে ২২ কোটি অ্যাকাউন্টই মহিলাদের। করোনার সময়ে এপ্রিল, মে এবং জুন মাসে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে।
২৭. করোনা যখন শুরু হয়েছিল তখন দেশে মাত্র একটি পরীক্ষাগারে এর নমুনা পরীক্ষা হত। আজ দেশে ১৪০০র বেশি পরীক্ষাগারে এই নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।
২৮. আজ দেশে আর একটি বড় কর্মসূচির সূচনা হচ্ছে- জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন। প্রতিটি দেশবাসীকে স্বাস্থ্যের জন্য একটি আইডি নম্বর দেওয়া হবে। জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন ভারতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন বিপ্লব নিয়ে আসবে।স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই একটি আইডিতে আপনাদের যা যা স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে, যা যা অসুখ হয়েছে, বিভিন্ন চিকিৎসক আপনাদের যেসব ওষুধ দিয়েছেন, কোন রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কখন, কোথায় সেই ওষুধ দেওয়া হয়েছে এ সংক্রান্ত সব তথ্য এই ব্যবস্থায় নথীভুক্ত থাকবে।
২৯. আজ ভারতে করোনার একটিমাত্র টিকা নিয়ে কাজ হচ্ছে না, তিনটি টিকা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যেই মুহূর্তে বৈজ্ঞানিকরা সবুজ সংকেত দেবেন, এই টিকা বিপুল পরিমানে উৎপাদনে জন্য দেশ সবরকমের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে রেখেছে ৷
৩০. জম্মু-কাশ্মীরের নতুন উন্নয়ন যাত্রার জন্য এই বছরটি গুরুত্বপূর্ণ। জম্মু-কাশ্মীরের মহিলা ও দলিতরা এই বছর তাদের অধিকার পেয়েছেন। জম্মু-কাশ্মীরের উদ্বাস্তুরা মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের সুযোগ পেয়েছেন। আমাদের সকলের কাছে এটা খুব গর্বের বিষয় যে জম্মু-কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা সক্রিয়ভাবে নতুন এক উন্নয়নের লক্ষ্যপূরণের দিকে এগিয়ে চলেছেন।
৩১. গত বছর লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। হিমালয়ের কোলে লাদাখ আজ উন্নয়নের নতুন এক উচ্চতায় এগিয়ে চলেছে। সিকিম আজ জৈব ফলনশীল রাজ্যে পরিণত হয়েছে, লাদাখকে আগামীদিনে কার্বন মুক্ত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এর জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
৩২. দেশে নির্বাচিত ১০০টি শহরে জনসংখ্যা হ্রাস করার জন্য একটি সর্বাঙ্গীন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৩৩. ভারত তার জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং উন্নয়নে অত্যন্ত সংবেদনশীল। দেশে বাঘের সংখ্যা দ্রুত হারে বেড়েছে। এখন এশিয়াটিক সিংহের উপর একটি প্রকল্প শুরু হতে চলেছে। একইভাবে প্রজেক্ট ডলফিন- ডলফিনের ওপর আর একটি প্রকল্পও শুরু হবে।
৩৪. নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত দেশের সার্বভৌমত্বের দিকে কেউ নজর দিলে আমাদের সেনাবাহিনী একই ভাষায় তার জবাব দিয়ে থাকে। ভারতের সার্বভৌমত্ব আমাদের কাছে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সাহসী সৈন্যরা আমাদের দেশের জন্য কি কি করতে পারেন, সারা বিশ্ব লাদাখে তা দেখেছে।
৩৫. গোটা বিশ্বের এক চতুর্থাংশ মানুষের বাস এই দক্ষিণ এশিয়াতে। আমরা উন্নয়নের একটি সম্ভাবনা তৈরি করতে পারি এবং সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধি আনতে পারি।
৩৬. দেশের নিরাপত্তার জন্য আমাদের সীমান্ত ও উপকূল অঞ্চলের পরিকাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হিমালয়ের চূড়া বা ভারত মহাসাগরে দ্বীপভূমি আজ সর্বত্রই সড়ক এবং ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব বিস্তার ঘটানো হচ্ছে।
৩৭. আমাদের দেশে ১৩০০ বেশি দ্বীপ রয়েছে। দেশের উন্নয়নের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে এই দ্বীপগুলির ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী কয়েকটি দ্বীপে নতুন উন্নয়নমূলক প্রকল্প শুরু হয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পর আগামী ১ হাজার দিনের মধ্যে লাক্ষাদ্বীপকেও জলের তলায় অপটিকাল ফাইবার কেবল দিয়ে যুক্ত করা হবে।
৩৮. দেশের ১৭৩টি সীমান্ত ও উপকূলবর্তী জেলায় জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনীর (এনসিসি) কর্মসূচির বিস্তার ঘটানো হবে। এই প্রকল্পে প্রায় ১ লক্ষ নতুন এনসিসি ক্যাডেটকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ মহিলা।
৩৯. আমাদের নীতি, আমাদের পদ্ধতি, আমাদের উৎপাদিত সামগ্রী সবকিছুই সর্বোৎকৃষ্ট হতে হবে, অতি অবশ্যই সর্বোৎকৃষ্ট হতে হবে। আর এর মধ্য দিয়েই ‘এক ভারত- শ্রেষ্ঠ ভারত’এর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
৪০. সস্তায় ইন্টারনেট, বিমানের টিকিট, জাতীয় সড়ক থেকে বৈদ্যুতিন যোগাযোগ ব্যবস্থা, আয়ত্বের মধ্যে আবাসন থেকে করের পরিমাণ হ্রাস- এইসব সুযোগ-সুবিধার পাবার মধ্যে দিয়ে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণী ‘ইজ অফ লিভিং’এর সবথেকে বেশি সুবিধা পাবেন। এই ব্যবস্থাগুলির সাহায্যে মধ্যবিত্তদের ক্ষমতায়ণ হবে। সূত্র – পিআইবি।