“স্বচ্ছ কর ব্যবস্থা-সৎব্যক্তিদের সম্মান জানানো”-র জন্য প্ল্যাটফর্মের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে “ স্বচ্ছ কর ব্যবস্থা ౼সৎব্যক্তিদের সম্মান জানানো”-র জন্য একটি প্ল্যাটফর্মের সূচনা করেছেন।

এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে গঠনমূলক সংস্কার এখন নতুন উচ্চতায় পৌছেছে। তিনি বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর কর ব্যবস্থার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে “ স্বচ্ছ কর ব্যবস্থা ౼ সৎব্যক্তিদের সম্মান জানানো”-র জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্যায়ন ও আবেদন এবং করদাতাদের সনদ অনুযায়ী সংস্কার সম্ভব হবে।

শ্রী মোদী আরো জানিয়েছেন,স্বয়ংক্রিয় আবেদন এবং করদাতাদের সনদের বিষয়টি আজ থেকে কার্যকর হয়েছে। দেশ জুড়ে স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়নের সুবিধে নাগরিকরা দীন দয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিন౼২৫শে সেপ্টেম্বর থেকে পাবেন।স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার জন্য করদাতাদের মধ্যে আস্থা বাড়বে এবং তাঁরা দুশ্চিন্তামুক্ত হবেন।

“যারা ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় ছিলেন না, তাঁদের এই পরিষেবায় নিয়ে আসা, নিরাপত্তাহীনদের নিরাপত্তা দেওয়া ও যাঁদের অর্থ নেই তাঁদের জন্য অর্থের যোগান দেওয়া”౼ বিগত ছয় বছর ধরে সরকার এই লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছে।

দেশগঠনে প্রধানমন্ত্রী সৎ করদাতাদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই সব করদাতাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করে তোলা সরকারের দায়িত্ব। শ্রী মোদী বলেছেন,” যখন দেশের একজন সৎ করদাতার জীবনযাত্রা সহজ হয়, তখন তিনি উন্নতির পথে এগিয়ে যান, এর ফলে দেশও উন্নতির দিকে এগোয়।“

আরও পড়ুন -  অশান্তি থেকে বেরিয়ে এখন পারফেক্ট কাপল কৌশিক-লাবণী

‘নূনতম সরকারী হস্তক্ষেপে সর্বোচ্চ প্রশাসন’ এই ধারণকে রূপ দিতে আজ নতুন সুবিধেগুলি চালু হল বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। প্রতিটি নিয়ম, আইন ও নীতি তৈরি করার সময় দেখা হয়েছে সেগুলি যাতে জনমুখি ও জন বান্ধব হয়, ক্ষমতা কেন্দ্রিক না হয়ে ওঠে। তিনি বলেছেন, নতুন প্রশাসনিক মডেলের ব্যবহারের সুফল ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে।

শ্রী মোদী বলেছেন, সব দায়িত্ব যাতে ঠিকমতো পালন করা হয় সেই জন্য যথাযথ পরিবেশ গড়ে তোলা হচ্ছে। জোর করে কোন কিছু করানো নয়, শাস্তির ভয় দেখানো নয়, বরং সর্বাঙ্গীণভাবে বোঝাপড়া গড়ে তোলার মধ্য দিয়েই এটা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান সরকারের সংস্কারনীতি কোন পৃথক পৃথক উদ্যোগ নয়, সর্বস্তরে একটি সর্বাত্মক প্রয়াস।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের কর কাঠামোর মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন, কারণ পূর্বতন কর ব্যবস্থা স্বাধীনতার আগে তৈরি হয়েছিল। স্বাধীনতার পর অনেক পরিবর্তন করা হলেও মূল চরিত্র একই ছিল। আগের কর ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সহজ সরল আইন ও পদ্ধতির কারণে এটি প্রয়োগ করতে সুবিধে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি পণ্যপরিষেবা করের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন, বেশ কিছু আইনের পরিবর্তে যেটি কার্যকর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  সকল মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা

শ্রী মোদী বলেছেন, নতুন আইনগুলি কর ব্যবস্থায় আইনী বোঝা কমিয়ে আনবে। এখন থেকে ১কোটি টাকা বা তার বেশী অঙ্কের টাকার ক্ষেত্রে হাই কোর্ট এবং ২ কোটি টাকা বা তার বেশী অঙ্কের টাকার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হবে। ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ উদ্যোগের ফলে বেশির ভাগ মামলাই এখন আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি করা যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমান সংস্কারের উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে কর প্রদানের ধাপগুলিকে যুক্তিগ্রাহ্য করা হয়েছে। এখন ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোন কর দিতে হয় না। আবার তার পরবর্তী ধাপগুলিতে করের হারও কমানো হয়েছে। বিশ্বের মধ্যে ভারতে কর্পোরেট করের হার সবথেকে কম।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কর কাঠামোকে মসৃণ, সমস্যাবিহীন ও স্বয়ংক্রিয় করে তোলার জন্য এই সংস্কারগুলির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মসৃণ ব্যবস্থার মাধ্যমে একজন করদাতা আরো সমস্যায় পড়ার বদলে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, কর সংক্রান্ত পরীক্ষা, নোটিশ, সমীক্ষা বা মূল্যায়ন করার জন্য এখন করদাতার সঙ্গে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুন -  রুক্মিণীর বিশেষ অনুরোধ, সকলের কাছে (যারা দিতে সক্ষম) প্লাজমা দান করার আবেদন রেখেছেন

করদাতাদের সনদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেছেন, তাঁরা যাতে সুন্দর, সৌজন্যতামূলক ও যুক্তিযুক্ত ব্যবহার পান, তার জন্য করদাতাদের সনদের সূচনা করা হয়েছে। এই সনদের ফলে করদাতারা নিছক কোন কারণ ছাড়াই সন্দেহভাজন হবেন না, তাঁদের প্রতি আস্থা প্রদর্শন করে প্রাপ্য মর্যাদা ও সংবেদনশীলতা দেখানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে গত ছয় বছরে মামলার পরীক্ষা নিরীক্ষার পরিমাণ প্রায় চারগুন হ্রাস পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। ২০১২-১৩ সালে যেখানে এই হার ছিল ০.৯৪%, সেখানে ২০১৮-১৯-এ তা কমে হয়েছে ০.২৬%। এর মাধ্যমে করদাতাদের প্রতি সরকারের আস্থা প্রতিফলিত হচ্ছে। গত ছয় বছরে করসংক্রান্ত কতৃপক্ষের ক্ষেত্রে প্রশাসনের নতুন মডেল অনুসরণ করা হচ্ছে। এর ফলে গত ৬-৭ বছরে আয়কর দাখিলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি।

শ্রী মোদী এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন যে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশে মাত্র দেড় কোটি মানুষ কর দেন।আত্মবিশ্লেষণ করে নিয়ম মাফিক কর দেবার জন্য তিনি জনসাধারণের কাছে আবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এর মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সূত্র – পিআইবি।