শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ও শ্রী পীযূষ গোয়েল মহারাষ্ট্রের দেবলালী থেকে বিহারের দানাপুর পর্যন্ত বিশেষ পণ্যবাহী ট্রেন ‘কিষাণ রেল’ – এর যাত্রার সূচনা করেছেন

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কিষাণ রেল সারা দেশে কৃষিজ পণ্যের দ্রুত পরিবহণে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে : শ্রী তোমর

ভারতীয় রেল এবং দেশের কৃষকরা কোভিড চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মুখভাগে থেকেছেন, কোভিড মহামারীর সময় খাদ্যশস্য পরিবহণ দ্বিগুণ হয়েছে, কৃষকদের আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে কিষাণ রেল আরও একটি পদক্ষেপ : শ্রী গোয়েল।
ভারতীয় রেল আজ মহারাষ্ট্রের দেবলালী থেকে বিহারের দানাপুর পর্যন্ত প্রথম ‘কিষাণ রেল’ পরিষেবা শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এবং রেল মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ট্রেনটির যাত্রার সূচনা করেন।

কৃষিজ পণ্যবাহী, বিশেষ করে পচনশীল পণ্যের পরিবহণে এই ট্রেনটি সাপ্তাহিক-ভিত্তিতে চলাচল করবে। এই ট্রেনটিতে ইঞ্জিন সহ ১০টি ওয়াগন রয়েছে। ট্রেনটি প্রায় দীর্ঘ ৩২ ঘন্টার সময়ে ১ হাজার ৫১৯ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আগামীকাল সন্ধ্যে ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দানাপুরে পৌঁছবে।

আরও পড়ুন -  হরিশ্চন্দ্রপুর ১নং বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিল কংগ্রেসের কয়েকশো কর্মী

এই উপলক্ষে শ্রী তোমর বলেন, কৃষকদের কাছে আজ এক বিশেষ দিন। বাজেটে কিষাণ রেলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কৃষিজ পণ্যের পরিবহণ যেমন প্রয়োজন, তেমনই কৃষকদের লাভজনক উপাজর্নও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় কৃষকরা যে কোনও ধরনের বিপর্যয় বা চ্যালেঞ্জের কাছে নতি স্বীকার করতে রাজি নয় বলে বারবার তাঁরা প্রমাণ করেছেন। কিষাণ রেল দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে কৃষিজ পণ্য সহজেই পৌঁছে দেবে। এই ট্রেন চালু হঅয়ার ফলে কৃষক ও গ্রাহক উভয় পক্ষই লাভবান হবেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত কৃষিজ পণ্যের দ্রুত পরিবহণে কিষাণ রেল আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসতে চলেছে বলে অভিমত প্রকাশ করে শ্রী তোমর কোভিড চ্যালেঞ্জের সময় নিরবছিন্ন খাদ্য সরবরাহ বজায় রাখার জন্য ভারতীয় রেলের প্রশংসা করেন।

আরও পড়ুন -  এক টেবিলে মধ্যাহ্নভোজন অনুব্রত ও পরমব্রতর, রাজনীতিতে আসছেন পরম ?

রেল মন্ত্রী শ্রী গোয়েল বলেন, ভারতীয় সর্বদাই কৃষকদের পরিষেবায় পাশে থেকেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দিশা-নির্দেশ ও অনুপ্রেরণায় ভারতীয় রেল ‘কিষাণ রেল’ পরিষেবা চালু করেছে। এই ট্রেন কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ করতে মাইলফলক হয়ে উঠবে। কোভিড চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতীয় রেল ও কৃষকরা সম্মুখভাগে থেকেছেন। করোনায় সময় খাদ্যশস্যবাহী ট্রেন পরিষেবা দ্বিগুণ হয়েছে। ভারতীয় কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এখন যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা আগে কখনও হয়নি। ‘আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে, খুব শীঘ্রই সেই দিন আসবে, যেই দিন কিষাণ রেলের মাধ্যমে কাশ্মীরের আপেল কন্যাকুমারীতে পৌঁছবে’ – বলে শ্রী গোয়েল অভিমত প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন -  পথভোলা নাবালিকা শিশু কন্যাকে উদ্ধার, কালিয়াগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায়

মহারাষ্ট্রের দেবলালী থেকে বিহারের দানাপুর পর্যন্ত যাত্রাপথে ট্রেনটি নাসিক রোড, মানমড, জলগাওঁ, বুরহানপুর, খান্ডোয়া, জব্বলপুর, সাটনা, মানিকপুর, প্রয়াগরাজ ও বক্সার স্টেশনে থামবে।

ভারতীয় রেল কিষাণ রেল পরিষেবা চালু করার মাধ্যমে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ বাড়াতে সাহায্য করছে।বিশেষ এই ট্রেনটি শাক-সব্জি, ফলমূল প্রভৃতি পচনশীল কৃষিজ পণ্য স্বল্প সময়ে বাজারে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। সূত্র – পিআইবি।

Leave a Comment