বাড়িতে কেউ যদি করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয় বাকিরা কি করবেন ?

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ বাড়িতে কেউ যদি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হয়ে পড়েন, স্বাভাবিক কারণেই আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিবারেও ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। নিজে সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকা আর আক্রান্ত ব্যক্তির শুশ্রূষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব থেকেই মূলত এ আতঙ্ক আর উদ্বেগের শুরু।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা অনুযায়ী, প্রত্যেক কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি গড়ে দুজনের বেশি মানুষের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাচ্ছেন। তবে বিভিন্ন দেশ এবং ভৌগোলিক অঞ্চলভেদে এই হিসাব কিছুটা আলাদা হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিবারের লোকজনের কিছু সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে।

পরিবারে যখনই কোনো একজন ব্যক্তি সংক্রমিত হবেন, আতঙ্কিত হয়ে না পড়ে দ্রুত একটি পরিকল্পনা করে ফেলতে হবে, যাতে পরিবারের বাকি সদস্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সেবা যথাযথভাবে দেয়া যায়।
তবে সাধারণত গ্রামাঞ্চলে, কিংবা নিম্ন আয়ের পরিবারে বাড়ির সবাই মিলে বসে পরিকল্পনা করার মত সচেতনতা কম থাকে, ফলে সেসব জায়গায় কম্যুনিটি বা সমাজের অগ্রসর সদস্যদের এ দায়িত্ব নিতে হবে।

আরও পড়ুন -  CRPF Jawans: এলোপাথাড়ি গুলি CRPF জওয়ানের, সহকর্মীদের উপর, নিহত ৪

আক্রান্ত ব্যক্তির ঘরে গরম জল, চা বা স্যুপ জাতীয় পানীয় ও কিছু শুকনো খাবার দিয়ে রাখতে হবে, যেন ওই ঘরটিতে বারবার না যেতে হয়।
অসুস্থ ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা মনিটর করুন

আক্রান্ত ব্যক্তি যদি বয়স্ক হন, তা হলে তিনি নিজে নিজে হয়ত সব কাজ করতে পারবেন না, তখন তার ঘরে কাউকে গিয়ে সেবা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি ও যিনি সেবা দেবেন, উভয়েই মাস্ক পরিধান করবেন।

আরও পড়ুন -  Chinese Balloon: চীনা বেলুন একাধিক দেশের ওপর নজর রাখছিলঃ মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট

পরিবারের বাকি সদস্যদের নিজেদের শরীরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সংক্রমণের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন।বাড়ির প্রথম ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর থেকে অন্তত ১৪ দিন পর্যন্ত সকলেরই নিজেদের অবস্থা মনিটরিং করতে হবে। এ সময়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মতো বাকি সদস্যদেরও গরম জল খাওয়া, গার্গল করা এবং বারবার হাত সাবান দিয়ে ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। একই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এমন খাবার অর্থাৎ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর জল পান করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম, বিশেষ করে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করারও পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

যে কোনো সময় আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিতে হতে পারে, সেই প্রস্তুতি রাখুন। এ জন্য জরুরি ফোন নম্বর হাতের কাছে রাখুন, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স বা গাড়ি, চিকিৎসক তাৎক্ষণিকভাবে যাদের প্রয়োজন হবে, তাদের ফোন নম্বর কোথাও লিখে রাখতে পারেন। টেলিফোন নম্বর জানা থাকলে প্রয়োজনের সময় দ্রুত কাজে লাগবে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য কিছু টাকা জোগাড় করে রাখুন, যাতে হঠাৎ প্রয়োজনে বিপদে না পড়তে হয়।

আরও পড়ুন -  Shane Warne: প্রয়াত হলেন শেন ওয়ার্ন, হৃদরোগে আক্রান্ত

যে কোনো প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সামাজিক মাধ্যমে দেখা প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করা যাবে না। তবে অহেতুক ভয় না পাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে মানসিকভাবে সুস্থ থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং প্রয়োজনে মনোবিদের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। সূত্র : বিবিসি।