কেন্দ্রীয় সরকারের ‘গ্রামোদ্যোগ বিকাশ যোজনা’র আওতায় ধূপবাতি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কারিগরদের সুবিধার্থে কর্মসূচির সূচনা

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ভারত সরকারের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রক ধূপবাতি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের সুবিধার্থে এবং গ্রামোদ্যোগ বিকাশ যোজনার আওতায় গ্রামীণ শিল্পের বিকাশের জন্য বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) একটি কর্মসূচির সূচনা করেছে। এই কর্মসূচি অনুসারে প্রাথমিকভাবে মোট ৪টি প্রকল্প চালু করা হবে। এরমধ্যে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য একটি প্রকল্পও রয়েছে। কারিগরদের সুবিধার্থে একটি ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। তাদের ৫০টি করে স্বয়ংক্রিয় ধূপবাতি তৈরির মেশিন এবং ১০টি মিক্সিং মেশিন দেওয়া হবে। এই ভাবে মোট ২০০টি স্বয়ংক্রিয় ধূপবাতি তৈরির মেশিন এবং ৪০টি মিক্সিং মেশিন কারিগরদের দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -  সব সমস্যা দূর করতে কলা খেতে পারেন

ভারত সরকার ধূপবাতি তৈরির সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের সুবিধার্থে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সিধান্ত নিয়েছে। ক)আমদানি নীতিতে ধূপবাতি সামগ্রীকে ‘বিনামূল্যের বাণিজ্য থেকে সীমাবদ্ধ বাণিজ্যে’ নিয়ে আসা হয়েছে ছ। খ) ধূপবাতি তৈরিতে ব্যবহৃত গোল বাঁশের কাঠিতে আমদানি শুল্প ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে দেশীয় ধূপবাতি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথ সুগম হবে। এমনকি দেশে ধূপবাতি উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকবে এবং বিদেশ থেকে ধূপবাতি আমদানির পরিমান কমবে।

আরও পড়ুন -  Monsoon Update; ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির কড়া সতর্কতা, কলকাতার আবহাওয়া আজকে কেমন হবে?

এই কর্মসূচির আওতায় খাদি এবং গ্রামীণ শিল্পোদ্যোগ কমিশন অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের সঙ্গে বিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে কাজ করবে। এর পাশাপাশি এই সংস্থা ধূপবাতি তৈরি যন্ত্রের বিষয়ে কারিগরদের প্রশিক্ষণ দেবে। ধূপবাতি তৈরির জন্য কারিগরদের কাঁচামাল সরবরাহের ক্ষেত্রে খাদি এবং গ্রামীণ শিল্পোদ্যোগ কমিশন অতীতেও ভাল কাজ করেছে।

আরও পড়ুন -  Partha-Arpita: এক্স-রে ও স্ক্যান করাতে হবে, এবার কোন রোগে আক্রান্ত হলেন অর্পিতা

এই কর্মসূচির ফলে ছোট ছোট গ্রাম ও শহরগুলিতে ধূপবাতি উৎপাদন পুনরুজ্জীবিত হবে এবং অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্যই হল দেশে ধূপবাতি উৎপাদন এবং ঐতিহ্যবাহী কারিগরদের নিয়মিত কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া। এতে দেশে অভ্যন্তরীণ ধূপবাতি শিল্পে উৎসাহ যোগাবে এবং বিদেশ থেকে ধূপবাতি আমদানির পরিমাণ হ্রাস পাবে। সূত্র – পিআইবি।