খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কন্টেনমেন্ট জোনে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন কঠোরভাবে বলবৎ থাকছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকা
কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরের এলাকাগুলিতে আরও কাজকর্ম চালু করার জন্য আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে।পয়লা আগস্ট থেকে কার্যকর হবে আনলক-৩। ধীরে ধীরে কাজকর্ম পুনরায় চালু করার প্রক্রিয়া আরও বাড়ানো হয়েছে এই পর্যায়ে। এদিন জারি করা এই নতুন নির্দেশিকা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়া এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
নতুন নির্দেশিকার মুখ্য বৈশিষ্ট্যগুলি হল –
১) ব্যক্তিদের রাত্রিকালীন চলাচলের নিষেধাজ্ঞাগুলি (নাইট কারফিউ) তুলে দেওয়া হয়েছে।
২) ৫ই আগস্ট থেকে যোগ প্রতিষ্ঠান এবং জিমগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ববিধি সুনিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) জারি করবে।
৩) সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রেও মাস্ক পরার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ২১শে জুলাই জারি করা নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।
৪) রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে পরামর্শের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে স্কুল, কলেজ এবং কোচিং প্রতিষ্ঠানগুলি ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
৫) ‘বন্দে ভারত’ মিশনের আওতায় সীমিত পদ্ধতিতে যাত্রীদের আন্তর্জাতিক বিমানে ভ্রমণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ক্রমপর্যায়ে তা আরও বাড়ানো হবে।
৬) নিম্নলিখিত ব্যতীত কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে সমস্ত কাজকর্মে অনুমতি দেওয়া হবে :
ক) মেট্রো রেল
খ) সিনেমা হল, স্যুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক, থিয়েটার, বার, অডিটোরিয়াম, অ্যাসেমব্লি হল ও অনুরূপ স্থান
গ) সামাজিক / রাজনৈতিক / খেলাধূলা / বিনোদন / শিক্ষামূলক / সাংস্কৃতিক / ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য বড় ধরনের জমায়েত
পরিস্থিতির ওপর বিচার করে এগুলি খোলার তারিখ আলাদা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৭) কন্টেনমেন্ট জোনে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত কঠোরভাবে লকডাউন বলবৎ থাকবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকা বিবেচনার পরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সাবধানতার সঙ্গে কন্টেনমেন্ট জোতগুলির সীমা নির্ধারণ করবে। নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলির মধ্যে কঠোরভাবে বিধিনিষেধ বজায় রাখা হবে এবং কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়া হবে।
৮) এই কন্টেনমেন্ট জোনগুলি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জেলা কালেক্টরেটের ওয়েবসাইটে দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এই তথ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গেও ভাগ করে নেবে।
৯) কন্টেনমেন্ট জোনগুলির কার্যকলাপ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কর্তৃপক্ষ। এই অঞ্চলগুলিতে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা সম্পর্কিত নির্দেশিকা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে।
১০) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক কন্টেনমেন্ট জোনগুলির সঠিক চিত্রায়ন এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর নজরদারি করবে।
কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে কাজকর্মের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে রাজ্যগুলি
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি পরিস্থিতি মূল্যায়নের ভিত্তিতে কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে কাজকর্ম নিষিদ্ধ করতে পারে বা প্রয়োজন অনুসারে এই ধরনের কাজের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারে। তবে, কোন ব্যক্তি বা পণ্যসামগ্রীর আন্তঃরাজ্য এবং রাজ্যের মধ্যে চলাচলের ক্ষেত্রে কোন বিধি-নিষেধ থাকবে না। এই ধরনের যাতায়াতে কোন পৃথক অনুমতি / অনুমোদন / ই-পারমিটের প্রয়োজন হবে না।
কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য জাতীয় নির্দেশিকা
সামাজিক দূরত্ববিধি সুনিশ্চিত করা সহ কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য জাতীয় নির্দেশিকাগুলি অব্যাহত থাকছে। দোকানগুলিতে গ্রাহকদের মধ্যে পর্যাপ্ত শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই জাতীয় নির্দেশিকা বাস্তবায়নের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করবে।
দুর্বল ব্যক্তিদের সুরক্ষায়
দুর্বল ব্যক্তি যেমন, ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে এমন ধরনের ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা এবং ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের সুরক্ষার কারণে প্রয়োজন ব্যতীত বা স্বাস্থ্য জনিত কারণ ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার
আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারে আরও বেশি উৎসাহ দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা সম্পর্কে বিশদে জানতে –
http://164.100.117.97/WriteReadData/userfiles/Unlock%203%20-%20Order%20and%20Guidelines%20Dated%2029.7.2020.pdf এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। সূত্র – পিআইবি।