খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ গণমাধ্যমে বিশেষত নতুন ধরণের গণমাধ্যমে কিভাবে ভুল তথ্য এবং ভুয়ো খবর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, সে সম্পর্কে শিশুদের শিক্ষিত করে তোলা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি বলেছেন, বাচ্চাদের এমন শিক্ষা দেওয়া উচিত যাতে তারা এই ধরণের সংবাদ চিনতে পারে।
টাইমস স্কলার ইভেন্ট উপলক্ষ্যে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মধ্যমে ২০০রও বেশি মেধাবী যুব প্রতিনিধিদের উদ্যেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপরাষ্ট্রপতি তথ্য বিশ্লেষণ করে অসত্য এবং গুজবকে তথ্যকে দূরে সরিয়ে রেখে সত্যকে সামনে নিয়ে আসা এবং সেই ধরণের সংবাদকে পরিবেশন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থীর জীবনের সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার মতো সক্ষম হয়ে উঠতে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এ পি জে আব্দুল কালামের কথাও তুলে ধরেন। কোভিডের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন না হওয়ারও পরামর্শ দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে দৃঢ় থাকতে বলেছেন। একইসঙ্গে ঘন ঘন হাত ধোওয়া, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশের জন্য নিয়মিত যোগচর্চা এবং চাপ ও হতাশা থেকে মুক্ত থাকার পরামর্শ দেন। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, এই মহামারীর সময় নিয়মিত যোগাভ্যাস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শৈশব অবস্থা থেকেই যোগকে বিদ্যালয়ের পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করারও পরামর্শ দেন তিনি। শ্রী নাইডু বলেন, যোগাভ্যাসের মাধ্যমে যুবদের একাগ্রতা ও শৃঙ্খলা বৃদ্ধি করে। বতমানে প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার কথা উল্লেখ করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষার্থীদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে প্রতিটি বাধা অতিক্রম করার আত্মবিশ্বাস ও সাহস থাকতে হবে। সাফল্যের কোন সংক্ষিপ্ত রাস্তা নেই বলেও তিনি জানান।
উপরাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষার লক্ষ্য কেবলমাত্র একটি ডিগ্রি বা কর্মসংস্থান প্রাপ্তি নয়। শিক্ষা হল নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি এবং আত্মবিশ্বাসের পথ। শিক্ষা কেবল প্রয়োজন তথ্য সরবরাহ করেনা, আমাদেরকে একজন ভাল ব্যক্তি হিসেবেও গড়ে তোলে। ভারতের প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিক মূল্যবোধের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, এদেশে মাতৃভক্তি, আনুগত্য, সততা, কৃতজ্ঞতা, ক্ষমা এবং প্রবীনদের প্রতি শ্রদ্ধার মতো একাধিক গুনাবলীর বিকাশও শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। শিক্ষার্থীদের তাদের পছন্দের যেকোন একটি ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন এবং শ্রেষ্ঠত্বের চূড়ায় পৌঁছানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
উপরাষ্ট্রপতি বলেন, তরুণ শিক্ষার্থীরা দারিদ্র, বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলি সমাধানের পথ খুঁজে বের করবে। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর দেওয়া মন্ত্রের কথা উল্লেখ করে উপরাষ্ট্রপতি তরুণ শিক্ষার্থীদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকার আহ্বান জানান। ভারতের যুবশক্তিকে দেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে বর্ণনা করে শ্রী নাইডু বলেন এই যুব সমাজই দেশকে অগ্রগতির নতুন শিখরে নিয়ে যাবে। সূত্র – পিআইবি / ছবি – ফাইল।