খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ সার ক্ষেত্রে সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে এনডিএ সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস নিচ্ছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় রসায়ন ও সার মন্ত্রী শ্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া। সরকারের এই প্রয়াসের উদ্দেশ্য হ’ল – প্রকৃত অর্থেই দেশীয় সার ক্ষেত্রকে স্বনির্ভর করে তোলা এবং কৃষকদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে সার পৌঁছে দেওয়া।
সার ক্ষেত্রে সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে সরকারি প্রয়াসগুলির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী গৌড়া বলেন, সার দপ্তর গত বছরের জুলাই মাসে আরও বেশি কৃষক-বান্ধব নগদ সুবিধা হস্তান্তর বা ডিবিটি ২.০-র নতুন সংস্করণ শুরু করেছে। এই ব্যবস্থাকে কৃষকদের কাছে আরও বেশি সহজ-সরল করে তুলতে এই উদ্যোগ। ডিবিটি ২.০ নতুন সংস্করণটির তিনটি অঙ্গ রয়েছে। এগুলি হ’ল – ডিবিটি ড্যাশবোর্ড, পিওএস ৩.০ সফটওয়্যার এবং ডেক্সটপ পিওএস সংস্করণ।
ডিবিটি ড্যাশবোর্ডের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের সারের সরবরাহ/যোগান/চাহিদা সম্পর্কিত তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়া যাবে।
পিওএস ৩.০ সফটওয়্যারটি বিভিন্ন শ্রেণীর ক্রেতাদেরকে সার বিক্রয়, একাধিক ভাষায় রশিদ প্রদান এবং সারের সুসম ব্যবহার বাড়াতে কৃষকদেরকে মাটির উর্বরতা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানে সাহায্য করবে। বর্তমানে যে পিওএস যন্ত্রগুলি রয়েছে, তার বিকল্প সংস্করণ হিসাবে ডেক্সটপ পিওএস পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
দেশে সার সরবরাহ ব্যবস্থায় আরও সরলীকরণের লক্ষ্যে সরকারের একাধিক প্রয়াসের কথা উল্লেখ করে শ্রী গৌড়া জানান, সার পরিবহণের ক্ষেত্রে আরও একটি মাধ্যম হিসাবে উপকূল এলাকা বরাবর জাহাজ পরিবহণের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। উপকূল এলাকা বরাবর সার পরিবহণ ব্যবস্থার প্রসারে মন্ত্রক ভর্তুকিযুক্ত সারের বন্টনে জাহাজ বা অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় সার পৌঁছে দিতে নতুন দুটি নীতির কথা ঘোষণা করেছে। ২০১৯-২০’তে উপকূল বরাবর জাহাজে করে ১ লক্ষ ১৪ হাজার মেট্রিক টন সার পরিবহণ করা হয়েছে।
ইউরিয়া উৎপাদন ক্ষেত্রগুলির জন্য স্থির মূল্য নির্ধারণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী গৌড়া জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের পর সার দপ্তর গত ৩০শে মার্চ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সংশোধিত তৃতীয় পর্যায়ের এনপিএস কর্মসূচিতে যে অস্পষ্টতা রয়েছে, তা দূর করা হয়েছে। সংশোধিত তৃতীয় পর্যায়ের এনপিএস কর্মসূচির সুষ্ঠু রূপায়ণের লক্ষ্যে ৩০টি ইউরিয়া উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য প্রতি মেট্রিক টনে অতিরিক্ত ৩৫০ টাকা স্থির মূল্য হিসাবে অনুদান দেওয়া এবং ৩০ বছরের পুরনো উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে প্রতি মেট্রিক টনে ১৫০ টাকা বিশেষ ক্ষতি পূরণ হিসাবে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে, তিন দশকেরও বেশি পুরনো ইউরিয়া উৎপাদন ক্ষেত্রগুলিতে গ্যাস-ভিত্তিক উৎপাদন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে উৎসাহ যোগানো হবে। এর ফলে, এ ধরনের উৎপাদন কেন্দ্রগুলি ব্যয় সাশ্রয়ী হয়ে উঠে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে পারবে এবং ধারাবাহিক উৎপাদন অব্যাহত থাকবে। সূত্র – পিআইবি।