খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে যৌথভাবে প্রযুক্তি মূল্যায়ন এবং বাণিজ্যিকীকরণ কর্মসূচি ত্বরান্বিত করার একটি গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর সূচনা করেছে। বণিকসভা ফিকি এবং রাশিয়ার ফাউন্ডেশন ফর অ্যাসিস্ট্যান্স টু স্মল ইনোভেটিভ এন্টারপ্রাইসেস – এর অংশীদারিত্বে এই কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে। প্রযুক্তির মূল্যায়ন ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে যৌথভাবে গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণের উদ্দেশ্য হ’ল – ভারত ও রাশিয়ার বিজ্ঞান তথা প্রযুক্তি পরিচালিত ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প সংস্থা এবং স্টার্ট আপ উদ্যোগগুলির জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির বিকাশ তথা একে অপরের দেশে প্রযুক্তির পূর্ণ সদ্ব্যবহার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সচিব অধ্যাপক আশুতোষ শর্মা গতকাল এই কর্মসূচির সূচনা উপলক্ষে বলেন, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বিজ্ঞানক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে যৌথভাবে প্রযুক্তির মূল্যায়ন তথা বাণিজ্যিকীকরণ কর্মসূচির ত্বরান্বিত করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও নিবিড় করে তোলার লক্ষ্যে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে এই উদ্যোগটির অত্যন্ত তাৎপর্য রয়েছে। কারণ, যৌথভাবে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানোর মাধ্যমে ভবিষ্যতের সমস্যাগুলির সমাধানসূত্র মিলবে।
রাশিয়াতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত শ্রী ডি বি ভেঙ্কটেশ ভার্মা বলেন, ভারতে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্টার্ট আপ উপযোগী বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তাই, দু’দেশের অসাধারণ প্রতিভাকে গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ সেদেশের রাষ্ট্রপতি পুতিনের ভারত সফরের সময় এই বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেতে চলেছে বলেও শ্রী ভার্মা জানান।
রাশিয়ার ফাউন্ডেশন ফর অ্যাসিস্ট্যান্স টু স্মল ইনোভেটিভ এন্টারপ্রাইসেস সংস্থার মহানির্দেশক মিঃ সার্গেই পোলিয়াকভ জানান, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে যৌথভাবে প্রযুক্তির মূল্যায়ন তথা ত্বরান্বিত বাণিজ্যিকীকরণ কর্মসূচি চালু হওয়ায় তাঁর দেশ অত্যন্ত আনন্দিত। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং শিল্পোদ্যোগের অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভারতের সমৃদ্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার বিষয়ে তাঁর দেশ সচেতন রয়েছে বলেও মিঃ পোলিয়াকভ উল্লেখ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির প্রয়োগ সমগ্র বিশ্বে নতুন এক স্বাভাবিক পরিস্থিতিজনিত চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় উভয় দেশকে সাহায্য করবে।
দু’বছর মেয়াদী এই কর্মসূচির আওতায় কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর ১০টি ভারতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থা তথা স্টার্ট আপগুলির জন্য ১৫ কোটি টাকা তহবিল গঠন করবে। একইভাবে, সেদেশের সরকারও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির জন্য সমমূল্যের তহবিলের সংস্থান করবে। সূত্র – পিআইবি।