খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে কোনঠাসা গোটা বিশ্ব। এই অনুজীবীবের সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজে বের করতে মরিয়া গবেষক ও চিকিৎসকরা। প্রতিষেধক বা কোন ওষুধ এখনো বের না হওয়ায় আপাতত প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। আর এরজন্য সংক্রমণ রোধে ঘরে থাকা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য চলছে লকডাউন। কিন্তু তারপরেও নানা কাজে বের হতে হয় বাইরে।
তবে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন খুব বেশি জরুরি না হলে বাইরে বের না হওয়ার। যারা বাইরে থেকে কাজ শেষে ঘরে ফিরছেন তাদের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঘরে ঢোকার সময় যে পরামর্শগুলো দেওয়া হয়েছে :
বাইরে বের হতে মাস্ক ও গ্লাভস পরা
বাইরে যেতে হলে অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস পরে বের হতে হবে। আর ঘরে ঢোকার পর মাস্কটি ফেলে দিতে হবে কিংবা সেটি পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। হাতের গ্লাভসটিও প্রয়োজনে সাবান-জল দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
জীবাণুনাশক ও জুতা ব্যবহার
সাবান বা ক্লোরিন মিশ্রিত জল কোন একটি স্থানে রাখা, যাতে ঘরে প্রবেশের আগে জুতা ও পা ডুবিয়ে প্রবেশ করা যায়। যে জুতা পরে বাইরে বের হবেন সেটি অবশ্যই ঘরের বাইরে রাখতে হবে। জীবাণুমুক্ত না করে কোন ভাবেই ঘরে নেওয়া যাবে না।
পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে দূরে থাকা
ঘরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজনের কাছে যাওয়া যাবে না। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক সদস্যদের থেকে দূরে থাকতে হবে। সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি মেনে চলতেই হবে।
হাত ও মুখ ধোয়া
ঘরে ঢুকেই প্রথমে কনুই পর্যন্ত সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। সঙ্গে মুখমণ্ডলও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে কারো সংস্পর্শে আসার আগে বাথরুমে চলে যান।
দ্রব্য জীবাণুমুক্ত করা
বাইরে থেকে যে পণ্য কিনে আনা হবে সেগুলো অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করে তারপর সংরক্ষণ করতে হবে। জীবাণুমুক্ত করার ক্ষেত্রে শাকসবজি ও ফলমূল ভিনেগার মিশ্রিত বা লবণ জলে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আর বাজারের ব্যাগ বা অন্য প্যাকেট সাবান জল বা ডেটল জল নিয়ে স্প্রে করে সেটি মুছে ফেলতে হবে। ওষুধের স্লিপ বা প্যাকেটগুলোও সাবান জলে ভেজানো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।