খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ আরোগ্য লাভ করেছেন ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার জন এবং এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে
সংক্রমিতদের মধ্যে ভেন্টিলেটরে ১ শতাংশ, আইসিইউ-তে ২ শতাংশের কম এবং ৩ শতাংশ সংক্রমিত অক্সিজেনের সাহায্যে রয়েছেন
দেশে বর্তমানে কোভিড-১৯-এ চিকিৎসাধীন সংক্রমিতের সংখ্যা ৩,৪২,৭৫৬ জন। ৬ লক্ষ ৩৫ হাজারেরও বেশি সংক্রমিত (৬৩.৩৩ শতাংশ) সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বিশ্বে দ্বিতীয় জনবহুল রাষ্ট্র ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৩৫ কোটি। এ দেশে প্রতি ১০ লক্ষ জনে ৭২৭.৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক হিসেবে প্রতি ১০ লক্ষ জনপিছু সংক্রমণের এই হার বেশ কম। ইউরোপের অনেক দেশে এই হার ৪ থেকে ৮ গুণ বেশি।
ভারতে প্রতি ১০ লক্ষ জনপিছু ১৮.৬ জন সংক্রমণের কারণে মারা যাচ্ছেন। সারা বিশ্বের অনুপাতে এই সংখ্যা সর্বনিম্ন। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা, সংক্রমিতের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের শনাক্তকরণ, কন্টেনমেন্ট এবং বাফার এলাকায় নজরদারি, নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ানো এবং যথাযথ সময়ে রোগ শনাক্তকরণের ফলে সংক্রমণের হার বেশ কম। এর মাধ্যমে দ্রুত চিকিৎসাও শুরু করা সম্ভব হয়েছে।
কোভিড-১৯-এর সংক্রমিতদের ভারত নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী কম সংক্রমিত, মাঝারি এবং বেশি সংক্রমিত হিসেবে চিহ্নিত করে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাছে। লক্ষণহীন অথবা মৃদু লক্ষণযুক্ত সংক্রমিতদের হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা মাঝারি সংক্রমণযুক্ত এবং যাঁদের সংক্রমণের তীব্রতা বেশি, তাঁদের কোভিড নির্ধারিত হাসপাতাল অথবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা চলছে। হোম আইসোলেশনে থাকার ফলে হাসপাতালগুলির ওপর চাপ খানিকটা কমছে এবং চিকিৎসকরা হাসপাতালে তীব্র অথবা মাঝারি সংক্রমিতদের যথাযথ চিকিৎসা করতে পারছেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য, বর্তমানে মোট সংক্রমিতের ১.৯৪ শতাংশ আইসিইউ-তে ও ০.৩৫ শতাংশ ভেন্টিলেটরে চিকিৎসাধীন। মোট চিকিৎসাধীন সংক্রমিতের মধ্যে ২.৮১ শতাংশকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে।
দেশজুড়ে চিকিৎসা পরিকাঠামো ক্রমশ বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে কোভিড নির্ধারিত হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও উন্নত হচ্ছে। বর্তমানে ১,৩৮৩টি কোভিড নির্ধারিত হাসপাতাল, ৩,১০৭টি কোভিড স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ১০,৩৮২টি কোভিড কেয়ার সেন্টার রয়েছে। এগুলিতে ৪৬,৬৭৩টি আইসিইউ বেড এবং ২১,৮৪৮টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। দেশে এখন এন৯৫ মাস্ক এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই কিটের কোন ঘাটতি নেই। কেন্দ্র বিভিন্ন রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে ২,৩৫,৬৮,০০০টি এন৯৫ মাস্ক এবং ১,২৪,২৬,০০০টি পিপিই কিট সরবরাহ করেছে।
কোভিড-১৯ এর বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের জন্য এবং এই মহামারী প্রতিরোধের বিষয়ে যে সব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তা জানতে https://www.mohfw.gov.in/ লিঙ্কটি ক্লিক করুন। অথবা ট্যুইটার হ্যান্ডেল @MoHFW_INDIA.-এর সাহায্য নিতে পারেন।
কোভিড-১৯ এর বিষয়ে কোন জিজ্ঞাস্য থাকলে [email protected] অথবা [email protected] – এই দুটি ই-মেলে যোগাযোগ করা যাবে। ট্যুইটার হ্যান্ডেল @CovidIndiaSeva-এ ও প্রশ্ন করা যাবে।
এছাড়াও +৯১-১১-২৩৯৭ -৮০৪৬ অথবা নিঃশুল্ক নম্বর ১০৭৫ এ ফোন করা যাবে। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড–১৯ সংক্রান্ত হেল্প লাইন নম্বরগুলির তালিকা পেতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন –
https://www.mohfw.gov.in/pdf/coronvavirushelplinenumber.pdf
সূত্র – পিআইবি।