কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত করার জন্য এআরসিআই এবং ভেহান্ত টেকনলজিস অতিবেগুণী রশ্মীর ব্যবস্থাপনায় একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কোভিড-১৯ সংক্রমণের ফলে দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে ভ্রমণ করাটা বেশ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোথাও বেরোলে জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে যেতেই হয়। সেই জিনিসপত্র বিভিন্ন লোকের সংস্পর্শে আসে। এর ফলে ভাইরাস সংক্রমণের একটা ঝুঁকি থেকে যায়। লকডাউন পরবর্তী সময়ে বিমানবন্দর, রেলস্টেশন এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক জায়গায় যাত্রী আনাগোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ আটকাতে মালপত্র দ্রুত সংক্রমণমুক্ত করার প্রয়োজনীয় দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন -  Norway Nightclub: বন্দুক হামলা, নরওয়েতে নৈশক্লাবে, নিহত ২

হায়দরাবাদের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড রিসার্চ সেন্টার ফর পাউডার মেটালার্জি অ্যান্ড নিউ মেটেরিয়ালস (এআরসিআই) এবং নয়ডার ভেহান্ত টেকনলজিস অতিবেগুণী রশ্মীর সাহায্যে জিনিসপত্র সংক্রমণমুক্ত করার জন্য ‘ক্রিটিস্ক্যান’ নামে একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে। এআরসিআই, কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের অধীনস্থ একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা। ক্রিটিস্ক্যানের সাহায্যে খুব সহজেই দ্রুত বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, হোটেল সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে জিনিসপত্রের চতুর্দিক জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব।

আরও পড়ুন -  Susmita Chatterjee: সুস্মিতাকে ট্রোল নেটিজেনদের, কেন?

অতিবেগুণী রশ্মীর সাহায্যে কোন রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াই শুষ্কভাবে একে প্রয়োগ করা সম্ভব। ক্রিটিস্ক্যানে ২৫৪ ন্যানোমিটার ক্ষমতাসম্পন্ন অতিবেগুণী রশ্মীর সাহায্যে মাত্র ৮ সেকেন্ডে ব্যাক্টেরিয়া এবং ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করা যায়। এখানে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকায় সংশ্লিষ্ট এলাকার কোন কর্মী অথবা যাত্রীদের কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে, অতিবেগুণী রশ্মীর উৎসের সামনে মানবদেহের কোন অংশ যেন না থাকে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  রবিবার প্রধানমন্ত্রীর জনসভা

এআরসিআই-এর নির্দেশক ডঃ জি পদ্মনাভ বলেছেন, তাঁদের সংস্থা অতিবেগুণী রশ্মী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। ভেহান্ত টেকনলজিস কোভিড-১৯ মহামারীর এই সঙ্কটের মধ্যেও এআরসিআই-এর সঙ্গে একযোগে কাজ করে ক্রিটিস্ক্যান তৈরি করেছে। এর ফলে, নিরাপদে ভ্রমণের সময় মালপত্র নিয়ে যাওয়া যাবে। সূত্র – পিআইবি।