কোভিড-১৯-এর জন্য কেন্দ্রীয় জৈবপ্রযুক্তি দপ্তরের সহায়তায় জাইডাসের টিকা জেডওয়াইসিওভি-ডি-র প্রথম পর্বের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় জৈবপ্রযুক্তি দপ্তরের বায়োটেকনলজি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্স কাউন্সিল (বিআইআরএসি) জানিয়েছে যে প্লাজমিড ডিএমএ টিকা জেডওয়াইসিওভি-ডি-র প্রথম পর্বের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রতিরোধে ভারতে জাইডাস বিআইআরএসি-র সহায়তায় এই টিকা তৈরির কাজ করেছে। এই প্রকল্পে জৈবপ্রযুক্তি দপ্তর বেশ খানিকটা অর্থ সাহায্য করেছে।

প্রথম পর্বের দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকার ডোজ কতটা নিরাপদ, সহনশীল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা বাড়াচ্ছে সেদিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। ফেব্রুয়ারিতে কোভিড-১৯-এর জন্য টিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার পর মানুষের শরীরে এর প্রয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।

জৈবপ্রযুক্তি দপ্তরের সচিব এবং বিআইআরএসি-র চেয়ারপার্সন ডঃ রেণু স্বরূপ জানিয়েছেন, ন্যাশনাল বায়োফার্মা মিশনের অধীনে জাইডাস দেশীয় প্রযুক্তিতে টিকা তৈরি কাজ করছে। দেশের কোটি কোটি মানুষ এই মারণঘাতি ভাইরাসের ফলে সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন। জাইডাসের এই গবেষণার মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন নতুন টিকা উদ্ভাবনে সরকারের উৎসাহ প্রতিফলিত হচ্ছে, অন্যদিকে মহামারীকে মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েও কাজ করারও প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জাইডাসের এই উদ্যোগটি আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষেত্রে একটি যুগের সূচনা করল। আশা করা যায়, এই টিকা ফলপ্রসূ হবে। এটি নিরাপদ, সহনশীল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। জাইডাস ক্যাডিলার চেয়ারম্যান শ্রী পঙ্কজ আর প্যাটেল বলেছেন, বিআইআরএসি এবং কেন্দ্রীয় জৈবপ্রযুক্তি দপ্তরের সাহায্যের জন্য তারা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁদের সংস্থা দেশকে সাহায্য করতে পারবে বলে তিনি আশা করেন।

আরও পড়ুন -  রথযাত্রা

মানুষের শরীরে প্রয়োগের আগে এই টিকা ইঁদুর, গিনিপিগ এবং খরগোশের মধ্যে প্রয়োগ করার পর ওই প্রাণীগুলির দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা গেছে। এই টিকা যে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিল, সেগুলি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। টিকা প্রয়োগ করার পর দেখা গেছে সেটি ওই প্রাণীগুলির দেহে কোন সমস্যা তৈরি করেনি। জেডওয়াইসিওভি-ডি ভারতে সফলভাবে ডিএনএ টিকা তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করল। এই টিকা ভাইরাসের পরিযোজনকে আটকাতে পারছে বলে প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেছে।

আরও পড়ুন -  কোভিড-১৯

কেন্দ্রের জৈবপ্রযুক্তি দপ্তরের শিল্প ও শিক্ষাবিদদের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাচ্ছে ন্যাশনাল বায়ো ফার্মা মিশন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই প্রকল্পে ২৫ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল তৈরি করেছে যেখানে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ৫০ শতাংশ অর্থ যোগান দেবে। বিআইআরএসি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অধীনস্থ একটি অলাভজনক সংস্থা। বিভিন্ন গবেষণা ও উদ্ভাবনে সাহায্য করাই এই পর্ষদের মুল উদ্দেশ্য। জাইডাস ক্যাডিলা একটি আন্তর্জাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা যারা বিভিন্ন রকমের ওষুধ এবং টিকা উদ্ভাবন করেছে। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  'ভ্যাকসিন মৈত্রী' নীতি যাতে বাধাহীন হয় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী