স্বল্পমূল্যের জ্বালানি সঞ্চয়ের জন্য সুপার ক্যাপাসিটর তৈরির উদ্যোগ

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড রিসার্চ সেন্টার ফর পাউডার মেটালার্জি অ্যান্ড নিউ ম্যাটেরিয়ালস (এআরসিআই)-এর বিজ্ঞানীরা পরিবেশ-বান্ধব ও স্বল্প খরচের বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন। বিভিন্ন কল-কারখানার বাতিল কাপড়কে এখানে সুপার ক্যাপাসিটরে ইলেক্ট্রোড হিসেবে ব্যবহার করা হবে। প্রথমবারের মতো সমুদ্রের জলকে জলীয় ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সুপার ক্যাপাসিটর ভবিষ্যতে জ্বালানি সঞ্চয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ বিদ্যুৎঘনত্বসম্পন্ন ও দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন যেটি বর্তমানে ব্যবহৃত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি বা অন্যান্য ক্যাপাসিটরের থেকে বেশি কার্যকর হবে। এই সুপার ক্যাপাসিটরে চারটি সামগ্রী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি হল – ইলেক্ট্রোড, ইলেক্ট্রোলাইট, সেপারেটর এবং কারেন্ট কালেক্টর অর্থাৎ বিদ্যুৎ সংগ্রাহক। এখানে ইলেক্ট্রোড এবং ইলেক্ট্রোলাইটের জন্য ব্যবহৃত উপাদানের খরচ কম করার জন্য বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন -  Lakshmi Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নথি সংক্রান্ত নিয়মের কিছুটা সরলীকরণ করা হল

এআরসিআই-এর গবেষকরা শিল্প কারখানার বাতিল কাপড়ের তন্তুতে বেশি মাত্রায় ছিদ্র থাকায় সেগুলিকে ইলেক্ট্রোড হিসেবে ব্যবহার করে উৎসাহব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি সমুদ্রের জলকে প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে ব্যবহার করার পর দেখেছেন এক্ষেত্রে বিদ্যুতের ঘনত্ব ১ অ্যাম্পেয়ার প্রতি গ্রাম। এছাড়াও বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যেসব সুপার ক্যাপাসিটরে সমুদ্রের জল ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলি দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখতে পারছে। বিজ্ঞানীরা এখন সুসংহত সৌরবিদ্যুতের জন্য কোষে এমন সুপার ক্যাপাসিটর ব্যবহার করতে চাইছেন যেগুলি পরিবেশ-বান্ধব এবং উপভোক্তা-বান্ধব হয়ে উঠতে পারবে। এক্ষেত্রে সমুদ্রের জলকে এই কোষে ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে ব্যবহার করলে ক্যাপাসিটরগুলি তৈরি করার খরচ কম হবে। তার সঙ্গে ইলেক্ট্রোডে বাতিল কাপড়ের টুকরো ব্যবহার করলে খরচ আরও কমে যাবে। সূত্র – পিআইবি।

আরও পড়ুন -  Sealdah Train: আবার ৯বগির ট্রেন, ক্ষোভ নিত্যযাত্রীদের, ১২বগির পরিষেবা চালু হওয়ার সত্ত্বেও