খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী শ্রী কিরেন রিজিজু আগামী ১৪ ও ১৫ই জুলাই দু’দিনের এক ভিডিও কনফারেন্সে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্রীড়া ও যুববিষয়ক মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। তৃণমূল স্তরে ক্রীড়া উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলির রূপরেখা চূড়ান্ত করতেই এই বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। বৈঠকে নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠন এবং ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের অধীন পরিচালিত বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা হবে।
মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে শ্রী রিজিজু বলেন, দেশে এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের আনলক চলছে। তাই, ক্রীড়া বিষয়ক কর্মকান্ডগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী রূপারেখা চূড়ান্ত করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। লকডাউনের সময় ক্রীড়া সহ যাবতীয় যুব বিষয়ক কর্মকান্ড থমকে গিয়েছিল। তাই, এগুলিকে পুনরায় শুরু করার সময় উপস্থিত হয়েছে। মাঠে প্রশিক্ষণের পরিবর্তে অ্যাথলিট ও প্রশিক্ষকদের জন্য অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। একইভাবে, নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠন এবং ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিমের স্বেচ্ছাসেবকরা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনকে সাহায্য করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। বৈঠকে কোভিড-১৯ এর সময় গৃহীত পদক্ষেপগুলির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনার পাশাপাশি, রাজস্তরে খেলাধূলা পুনরায় শুরু করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে। চলতি বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের গোড়ায় খেলো ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতা ও যুব উৎসব আয়োজনের ব্যাপারেও আলোচনা হবে।
২০২৮ – এর অলিম্পিকের দিকে নজর রেখে বিশ্বের অগ্রণী ১০টি দেশের মধ্যে ভারতকে তুলে আনার স্বপ্ন পূরণে দেশে ক্রীড়া পরিকাঠামো ব্যবস্থায় উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। তাই, এই কাজ অবিলম্বে শুরু করতে হবে। মন্ত্রক এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে খেলো ইন্ডিয়া রাজ্যস্তরীয় উৎকর্ষ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও, স্থানীয় প্রতিভাবান অ্যাথলিটদের খুঁজে বের করতে এবং তাঁদের ক্রীড়া নৈপুণ্যকে আরও ক্ষুরধার করে তুলতে জেলাস্তরে ১ হাজারটি খেলো ইন্ডিয়া সেন্টার গড়ে তোলা হবে। এই কেন্দ্রগুলিতে অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, এমনটি ১৪টি ক্রীড়া বিভাগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকার ‘এক দেশ এক ক্রীড়া নীতি’ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা অবিলম্বে কার্যকর করার বিভিন্ন দিক নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে। মন্ত্রকের উদ্দেশ্য, এই উদ্যোগে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সক্রিয়ভাবে সামিল করে সহযোগিতার ভিত্তিতে এমন এক ভবিষ্যৎ রূপরেখা চূড়ান্ত করা, যা ভারতকে অবিলম্বে ক্রীড়া ক্ষেত্রে মহাশক্তিধর দেশে পরিবর্তন করতে পারে।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দু’দিনের এই বৈঠকে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দুটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যাতে সকলেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজেদের মতামত পেশ করার পর্যাপ্ত সুযোগ পায়। সূত্র – পিআইবি / ছবি – সংগৃহীত।