খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু উদ্ভাবন এবং নতুন শিল্পোদ্যোগের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রত্যেক ভারতীয়কে ‘স্থানীয়’ ভারতকে ‘গ্লোকাল’ ভারতে রূপান্তর করতে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের সামিল হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
উপ-রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এলিমেটস্ মোবাইল অ্যাপ – এর ভার্চ্যুয়াল সূচনা অনুষ্ঠানে শ্রী নাইডু বলেন, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের লক্ষ্যই হ’ল দেশের পরিকাঠামো ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করে, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করে, মানবসম্পদের সমৃদ্ধি ঘটিয়ে এবং শক্তিশালী সরবরাহ চেন তৈরি করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলা।
আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের মাধ্যমে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলার এক অন্যতম লক্ষ্য হিসাবে বর্ণনা করে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, এটি গ্রাম ও শহরাঞ্চলে উন্নয়নে গতি আনবে এবং উদ্ভাবন ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাবে।
উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আহ্বান শুধুমাত্র সুরক্ষা বা নজরদারির জন্যই নয়, বরং এটি প্রকৃত উন্নয়ন কৌশল। এতে ভারতকে এক সহজাত শক্তিশালী দেশ হিসাবে যেমন স্বীকৃতি দেবে, তেমনই পুঁজির বিকাশ ঘটবে।
উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিভাবান বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের কারণেই প্রধানমন্ত্রী গতকাল ভারতে ‘আত্মনির্ভর ভারত অ্যাপ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ – এর কথা ঘোষণা করেছিলেন। এটি যথেষ্ট সময়োপযুক্ত। ভারতকে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে শক্তিশালী দেশ হিসাবে গড়ে তোলার প্রেক্ষাপটে এই ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এটি ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের আমাদের জীবনে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ তৈরিতে উৎসাহিত করবে। প্রধানমন্ত্রীর আশা অনুযায়ী, বিশ্ব মানের ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ অ্যাপ তৈরি করা সম্ভব হবে। আত্মনির্ভর অ্যাপ ইকো সিস্টেম তৈরিতেও সাহায্য করবে বলেও জানান উপ-রাষ্ট্রপতি।
দেশীয় অ্যাপ্লিকেশন এলিমেটস্ তৈরিতে ১ হাজারেরও বেশি তথ্য প্রযুক্তি পেশাদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘নতুন ভারত’ বা নিউ ইন্ডিয়া তরুণ চিন্তাবিদদের কাছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অন্বেষণের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, উদ্ভাবন হ’ল – একুশ শতকের পরিপূরক এক শব্দ। সাফল্যের জন্য আমাদের সবরকম উপকরণ রয়েছে। ৮টি ভারতীয় ভাষায় এই অ্যাপটি পাওয়া যাবে বলে সন্তোষ প্রকাশ করে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামী দিনে বাকি ভাষাগুলিতেও এই অ্যাপটি পাওয়া যাবে।
উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারতীয় প্রযুক্তি শিল্প এবং এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত পেশাদাররা উল্লেখযোগ্যভাবে কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, তাঁরা কেবল প্রযুক্তি ক্ষেত্রেই ভারতের দক্ষতা বৃদ্ধি ঘটাননি, বরং আত্মনির্ভর ভারতের দিকেও দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।তিনি বলেন এই অ্যাপটি দেশের সাধারণ মানুষ ব্যবহার করবেন এবং বহু বিদেশি অ্যাপের তুলনায় এই অ্যাপটি যথেষ্ট ভালো বলেও প্রমাণিত হবে।
শ্রী নাইডু, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, মানবসম্পদন উন্নয়ন প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারতকে অগ্রণী শক্তি হিসাবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
কোভিড-১৯ মহামারী সহ দেশে অভ্যন্তরীণ ও বাইরের সমস্যা মোকাবিলা করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে শ্রী নাইডু জানান, ভারত এখন ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের মধ্য দিয়ে চলেছে।
গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে এই অ্যাপটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন উপ-রাষ্ট্রপতি। আত্মনির্ভর ভারতের দিকে এই রূপান্তরের পথে ‘গুরুদের’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
আর্ট অফ লিভিং – এর প্রতিষ্ঠাতা গুরুদেব শ্রীশ্রী রবিশঙ্করজী, জিএমআর গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্র্যান্ডি মল্লিকার্জুন রাও, যোগগুরু বাবা রামদেব, রামোজী গ্রুপের চেয়ারম্যান শ্রী রামোজী রাও সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অ্যাপের সূচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সূত্র – পিআইবি / ছবি – গুগল।