‘প্রেরক দৌড় সম্মান’ নামে নতুন পুরস্কার প্রবর্তন; ২০২১-এর স্বচ্ছ সর্বেক্ষণের মাপকাঠির প্রকাশ করলেন শ্রী হরদীপ সিং পুরী

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ      কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী শহরাঞ্চলীয় ভারতের বার্ষিক পরিচ্ছন্নতা সমীক্ষার ষষ্ঠ সংস্করণ পরিচালনার জন্য ২০২১-এর স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ সমীক্ষা মাপকাঠি প্রকাশ করেছেন। এই উপলক্ষে শ্রী পুরী বলেন, প্রতি বছর স্বচ্ছ সর্বেক্ষণের জন্য মাপকাঠিগুলি নতুন করে স্থির করা হয় যাতে শহরাঞ্চলগুলির ক্রমতালিকা নির্ধারণে কোনরকম ঘাটতি না থাকে। গত বছরের মতো এ বছরেও মন্ত্রক স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ, ২০২১-এর সূচকগুলির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এবারের সমীক্ষাতে আচার-আচরণগত পরিবর্তনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দানের পাশাপাশি, নোংরা জল পরিশোধন এবং তার পুনর্ব্যবহার, পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা প্রভৃতি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। স্বচ্ছ সর্বেক্ষণের মাপকাঠি প্রকাশ অনুষ্ঠানে মন্ত্রকের সচিব শ্রী দুর্গাশঙ্কর মিশ্র এবারের সর্বেক্ষণ সম্পর্কিত বিভিন্ন মাপকাঠি এবং পদ্ধতিগুলির বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করেন।

শ্রী পুরী এবারের স্বচ্ছ সর্বেক্ষণের অঙ্গ হিসেবে ‘প্রেরক দৌড় সম্মান’ নামে নতুন একটি পুরস্কার প্রবর্তন করেছেন। এই পুরস্কারের অঙ্গ হিসেবে পাঁচটি উপ-বিভাগ রয়েছে। এগুলি হল – প্ল্যাটিনাম, গোল্ড, সিলভার, ব্রোঞ্জ এবং অ্যাসপায়ারিং। প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রথম তিনটি শহরকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। সর্বেক্ষণের অঙ্গ হিসেবে এবার বর্জ্য পদার্থের পৃথিকীকরণ এবং সেগুলিকে শুষ্ক, জলীয় ও বিপজ্জনক শ্রেণীতে ভাগ করা হচ্ছে। শুষ্ক এবং জলীয় বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণ ও পুনর্ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, বর্জ্য পরিচালনা কেন্দ্র স্থাপন এবং বর্জ্য পদার্থের সঠিকভাবে বিনষ্টকরণে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন -  নতুন পোশাক পরে দেখা দিলেন মিঠাই ওরফে সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu)

এই উপলক্ষে এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে শ্রী পুরী স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ কিভাবে নাগরিকদের সক্রিয় সহযোগিতায় প্রকৃত জন-আন্দোলনে পরিণত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করেন। এ বছর নাগরিকদের সামিল করার মধ্য দিয়ে  স্বচ্ছ চ্যাম্পিয়ন সম্মান ঘোষণা করা হবে। বিগত কয়েক বছর ধরে স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ মিশনের পরিচালনায় ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলি অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। এই ওয়েবিনারে ‘উৎস থেকেই বর্জ্য পৃথিকীকরণ :  কঠিন বর্জ্য পরিচালনায় গুরুত্ব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক হাজারেরও বেশি রাজ্য এবং শহরাঞ্চলীয় প্রশাসনগুলির আধিকারিকরা অংশ নেন। এই কর্মশিবিরে নবি মুম্বাই, সুরাট, কারাদ প্রভৃতি শহরের বর্জ্য পৃথিকীকরণের একাধিক আদর্শ পদ্ধতি সম্পর্কে বিবরণ পেশ করা হয়।

আরও পড়ুন -  Omar Farooq Vishal: সাংবাদিক ও গীতিকার ওমর ফারুক বিশাল, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন!

শহরাঞ্চলীয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মানোন্নয়নে শহরগুলিকে উৎসাহিত করতে মন্ত্রক ২০১৬ সালে প্রথম স্বচ্ছতা সর্বেক্ষণ কর্মসূচি চালু করে। ২০১৭-র সর্বেক্ষণে দেশের ৪৩৪টি শহরের ক্রমতালিকা স্থির করা হয়। ২০১৮-এর স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ বিশ্বের বৃহত্তম পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক সমীক্ষা হয়ে ওঠে। এই সমীক্ষায় দেশের ৪,২০৩টি শহরের ক্রমতালিকা স্থির করা হয়। গত বছরের স্বচ্ছ সর্বেক্ষণে দেশের ৪,২৩৭টি শহরকে সামিল করে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে সমীক্ষা পরিচালিত হয়। ২০২০-র স্বচ্ছ সর্বেক্ষণে বিগত বছরগুলির মতো এবারও ১ কোটি ৮৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  মুম্বইয়ে গ্ল্যামারের দাপট দেখাচ্ছেন রাজের এই নায়িকা, কে তিনি?

উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৪ সালে স্বচ্ছ ভারত মিশন-শহরাঞ্চল কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর শহরাঞ্চলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও কঠিন বর্জ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি ঘটেছে। দেশের ৪,৩২৪টি শহরাঞ্চলীয় স্বশাসিত সংস্থা নিজেদের উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম বর্জিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়াও, ৬৬ লক্ষেরও বেশি পারিবারিক শৌচাগার এবং ৬ লক্ষেরও বেশি সার্বজনীন শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ৯৬ শতাংশের বেশি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ছয়টি শহরকে ফাইভ স্টার হিসেবে, ৮৬টি শহরকে থ্রি স্টার হিসেবে এবং ৬৪টি শহরকে ওয়ান স্টার হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। জঞ্জাল মুক্ত শহরের জন্য যে স্টার রেটিং প্রোটোকল রয়েছে তার নিয়ম-নীতি মেনেই এই শহরগুলির রেটিং স্থির হয়েছে। সূত্র – পিআইবি।