খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ সংঘ আগামী চৌঠা জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন করবে। এই দিনটি ধর্মচক্র দিবস হিসেবেও উদযাপন করা হবে। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে বারাণসীর কাছে সারনাথে রশিপাটনায় হরিন উদ্যানে বুদ্ধ প্রথম ধর্ম উপদেশের মাধ্যমে কৃচ্ছসাধনের জন্য পাঁচটি মূল নিয়মের কথা তুলে ধরেন। এই ঘটনার স্মরণে দিনটি আষাঢ়ী পূর্ণিমা হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। এই দিনটি সারা বিশ্বজুড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবল্মীরা ‘ধর্মচক্র প্রবর্তন’ অথবা ‘ধর্ম চক্রের আবর্তন’ হিসেবে পালন করে থাকেন। বৌদ্ধ এবং হিন্দু উভয়েই তাদের ধর্মগুরুদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য গুরু পূর্ণিমার দিনটি যথাযথভাবে পালন করে থাকেন।
ভারতের ঐতিহ্য অনুসারে, বুদ্ধের জ্ঞানাজর্নের দেশ হিসেবে এবং তাঁর ধর্ম চক্র আবর্তন ও মহাপরিনির্বাণের কথা স্মরণে রেখে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ধর্মচক্র দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন। এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভগবান বুদ্ধের শান্তি ও ন্যায়বিচারের শিক্ষা, সংবেদনশীলতা, দূর্ভোগ কাটিয়ে উঠে বুদ্ধের প্রদর্শিত উচ্চ অষ্টম পথে এগিয়ে চলার ওপর বক্তব্য রাখবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী কিরেন রিজিজু বক্তব্য রাখবেন। মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতির একটি বিশেষ বক্তব্য পাঠ করা হবে। কয়েক শতাব্দী ধরে মঙ্গোলিয়ার সংরক্ষিত ভারতীয় বংশোদ্ভুত মূল্যবান বৌদ্ধ পান্ডুলিপি ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রদান করা হবে।
শীর্ষস্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃত্ব, বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্ডিতেদের বার্তা সরাসরি প্রচার করা হবে।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এ বছর এই অনুষ্ঠান ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। এর আগেও গত ৭ই মে বুদ্ধ পূর্ণিমায় (বৈশাখী পুর্ণিমা) দিনটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল। আগামী চৌঠা জুলাই বিশ্বব্যাপি অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রচার করা হবে। এর মাধ্যমে ৩০ লক্ষেরও বেশি ভক্ত এই অনুষ্ঠানটি দেখতে পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র – পিআইবি।