খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ কোভিড-১৯ আত্মনির্ভর ভারত গঠনের পথ সুগম করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রত্যেক ক্ষেত্রেই পুনর্নিমাণ, পুনঃপরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের পক্ষে পথ খুলে গেছে বলে জানালেন পদ্মবিভূষণ পুরস্কার বিজয়ী ডঃ রঘুনাথ অনন্ত মাশেলকার।
উত্তর-পূর্ব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ‘বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা – গ্রীষ্মকালীন গবেষণা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, ২০২০’র অধীনে ‘আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণ’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় একথা জানান তিনি।
ডঃ মাশেলকার বলেন, আত্মনির্ভর ভারত গঠনের জন্য নিজেদেরকে স্বাবলম্বী হতে হবে। বিদেশর সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। তিনি আত্মনির্ভরতার পাঁচটি স্তম্ভের ওপর জোর দেন। আরও ভালো করে পণ্য উৎপাদন, তৈরি করা, কেনা, আরও ভালো করে তৈরি করার জন্য কেনা এবং একসাথে তৈরি করা (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে গড়ে তোলা)। তিনি বলেন, দেশের যুবশক্তিকে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের কাজে এগিয়ে আসতে হবে। দেশকে সমৃদ্ধ করে তোলার জন্য প্রযুক্তি এবং বিশ্বাস – এই দুইয়েরই মেলবন্ধন হওয়া দরকার।
ডঃ মাশেলকার বলেন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগটি কেবলমাত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে নয়, ভারতকেও উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। গবেষণার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে শ্রী মাশেলকার বলেন, উদ্ভাবন ক্ষেত্রে সব সময় গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই একটি জাতির সমৃদ্ধি সম্ভব। দেশের প্রতিভা এবং দক্ষতাকে কাজে লাগানোরও আহ্বান জানান তিনি। কোভিড পরবর্তী বিশ্বে চিনের বিকল্প গন্তব্য হিসেবে ভারতের গুরুত্ব ক্রমশই বাড়ছে। চিনকে এড়িয়ে অনেক দেশই এখন ভারতে বিনিয়োগে আগ্রহী। তাই, দেশে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এজন্য পর্যাপ্ত তহবিল এবং পরিকাঠামো দরকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন। শ্রী মাশেলকার বলেন, উচ্চতর আকাঙ্ক্ষা, অধ্যাবসায়, সময়মতো সমস্যার সমাধান, অন্যের জন্য নিজের দরজা খুলে রাখা, নিঃশব্দে কঠোর পরিশ্রম, ইতিবাচক ভাবনা, বিশ্বে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন দক্ষতা ও প্রযুক্তিকে গ্রহণ এবং মানুষের কল্পনা, সাফল্য এবং কৃতিত্বকে তুলে ধরা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আত্মবিশ্বাস থাকলেই তবেই আত্মনির্ভর ভারত গড়ে উঠবে। সূত্র – পিআইবি।