শ্রী রামবিলাস পাসোয়ান পিএমজিকেএওয়াই প্রকল্পটির মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সময়সীমা নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ      কেন্দ্রীয় উপভোক্তা, খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী শ্রী রামবিলাস পাসোয়ান আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এএওয়াই এবং পিএইচএইচ সুবিধাভোগীদের মাসে বিনামূল্যে ৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়ার বিষয়ে তাঁর মন্ত্রক কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে বর্ষাকালে এবং আগামী উৎসবের মরশুমে দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষরা যেন অভুক্ত না থাকেন, সেই উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা (পিএমজিকেএওয়াই) প্রকল্পটির সময়সীমা নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোয় শ্রী পাসোয়ান তাঁকে ধন্যবাদ জানান।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আজ অর্থাৎ পয়লা জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় ৮০ কোটি মানুষকে ২০০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এছাড়াও, ২০ কোটি পরিবারকে ৯ লক্ষ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন ছোলা বন্টন করা হবে। মন্ত্রী জানান, পিএমজিকেএওয়াই ১ এবং ২-এর জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -  Mobile Phone: মোবাইলে গেম খেলতে না দেওয়ায় মাকে গুলি করে হত্যা

এপ্রিল মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত পিএমজিকেএওয়াই প্রকল্পে ১ কোটি ১৯ লক্ষ ৮২ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি ছাড়া বাকি রাজ্যগুলি ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৫২ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করেছে। এপ্রিল ও মে মাসে ৯৩ শতাংশ খাদ্যশস্য বন্টন করা হয়েছে। জুন মাসে এই পরিমাণ ৭৫ শতাংশ। যে রাজ্যগুলি এপ্রিল, মে এবং জুন মাসে ৯০ শতাংশের কম খাদ্যশস্য বন্টন করেছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ বরাদ্দকৃত ৯ লক্ষ ২ হাজার ৭৫৭ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের মধ্যে ৫৯ শতাংশ অর্থাৎ, ৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৮৮৭ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বন্টন করেছে। বিহার বরাদ্দকৃত ১২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৪৪ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের মধ্যে ৭৫ শতাংশ খাদ্যশস্য অর্থাৎ, ৯ লক্ষ ৭৪ হাজার ৪১০ মেট্রিন টন বন্টন করেছে এবং ঝাড়খণ্ডে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্যের মধ্যে ৮৬ শতাংশ বন্টন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Bangladesh: বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদ, বাংলাদেশ সরকারকে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে হবে

শ্রী পাসোয়ান জানান, এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন ডাল উপভোক্তাদের মধ্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫ লক্ষ ৮০ হাজার মেট্রিক টন ডাল রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠানো হয়েছে। এপ্রিল মাসে পশ্চিমবঙ্গ ৮৭.৪৮ শতাংশ ডাল এবং বিহার ৮১.৫৪ শতাংশ ডাল বন্টন করেছে। মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোন ডাল বন্টন করা হয়নি। বিহারে ৩১.৪৫ শতাংশ এবং ত্রিপুরায় ৮৪.৩ শতাংশ ডাল বন্টন করা হয়েছে। জুন মাসেও পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও বিহারে কোন ডাল বন্টন করা হয়নি। ওড়িশায় ৭১.৯৬ শতাংশ এবং ঝাড়খণ্ডে ৮৭.০৫ শতাংশ ডাল দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Vastushastra: শ্রাবণ মাসের প্রতি মঙ্গলবার, বজরংবালির পুজো করলে সুখ শান্তি হয়

শ্রী পাসোয়ান সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ ব্যবস্থা দ্রুত চালু করার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রকের সঙ্গে এ বিষয়ে তাঁর কথা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও খাদ্যশস্য সরবরাহ এবং পরিবহণের জন্য মন্ত্রী তাঁর দপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকদের পাশাপাশি, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, নাফেড এবং রেলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সূত্র – পিআইবি।