কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের স্বপ্নের অনুষ্ঠানের আড়ালে কি লুকিয়ে ছিল বড়সড় অনিয়ম? যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিয়োনেল মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলার তদন্তে এ বার বড় পদক্ষেপ নিল পুলিশ।
শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তের হুগলির রিষড়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। রিষড়া থানার সহযোগিতায় বাঙুর পার্কে অবস্থিত তাঁর বিলাসবহুল তিনতলা বাড়িতে পৌঁছয় তদন্তকারী দল। সেই সময় বাড়িতে কেবল পরিচারিকা ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি ঘরে ঘরে তল্লাশি চালানো হলেও কিছু বাজেয়াপ্ত হয়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, মেসির অনুষ্ঠানে আর্থিক লেনদেন ঘিরে একাধিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ১০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে আয়োজক সংস্থার বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। কালো টাকার ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে— এমন সন্দেহ থেকেই তদন্তকারীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
সূত্রের দাবি, কত টিকিট ও পাস বিক্রি হয়েছে, মেসির সঙ্গে ছবি তোলার জন্য নেওয়া বিপুল অঙ্কের টাকার হিসাব— কোনও কিছুরই স্পষ্ট নথি নেই। ইতিমধ্যেই ইডির তরফে ইসিআইআর দায়ের হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা শীঘ্রই তদন্তে নামতে পারে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানের সময় হঠাৎ বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। চেয়ার ভাঙচুর, বোতল ছোড়া ও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ওই ঘটনার পরই শতদ্রু দত্তকে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এ দিকে, স্টেডিয়াম ভাঙচুরের ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলেন ঋজু দাস, সৌম্যদীপ দাস ও তন্ময় দে। শুক্রবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে। এই নিয়ে যুবভারতী কাণ্ডে মোট ন’জন গ্রেফতার হল।
প্রশ্ন ও উত্তর
কেন শতদ্রু দত্তের বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে?
যুবভারতী ভাঙচুর ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তদন্তের অংশ হিসেবেই তল্লাশি চালানো হয়েছে।তল্লাশিতে কি কিছু উদ্ধার হয়েছে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।মেসির অনুষ্ঠানে কী ধরনের অনিয়মের অভিযোগ?
টিকিট বিক্রি, পাস, ছবি তোলার অর্থ এবং কালো টাকার ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।এই ঘটনায় ইডি কি যুক্ত হচ্ছে?
ইতিমধ্যেই ইডি ইসিআইআর দায়ের করেছে, শীঘ্রই তদন্ত শুরু হতে পারে।এ পর্যন্ত কত জন গ্রেফতার হয়েছে?
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ন’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

