শীত পড়তেই অনেক পোকামাকড়ের উৎপাত কমে যায়, কিন্তু তেলাপোকা যেন ঠিক উল্টো পথ ধরে। হঠাৎ করেই রান্নাঘরের কোণায়, সিঙ্কের পাশে বা ক্যাবিনেটের ভেতর দেখা মিলছে এই অবাঞ্ছিত অতিথির। শুধু বিরক্তিকরই নয়, স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ায় তেলাপোকার উপস্থিতি। শীতকালে রান্নাঘর উষ্ণ ও নিরাপদ আশ্রয় হওয়ায় এদের আনাগোনা বেড়ে যায়। তবে কিছু সহজ অভ্যাস বদলালেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
উষ্ণ লুকানোর জায়গা বন্ধ করুন
শীতে তেলাপোকা উষ্ণ ও অন্ধকার জায়গা খোঁজে। গ্যাস পাইপের ফাঁক, ক্যাবিনেটের পেছনের ফাটল বা সিঙ্কের নিচের অংশ ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। সিলিকন সিল্যান্ট দিয়ে এই ফাঁকগুলো বন্ধ করে দিন। বিশেষ করে ফ্রিজ বা মাইক্রোওয়েভের পেছনের অংশ পরিষ্কার ও সিল করা জরুরি।
রাতে সিঙ্ক ও ড্রেন শুকনো রাখুন
আর্দ্রতা তেলাপোকার বড় বন্ধু। রাতের খাবারের পর সিঙ্ক ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে নিন। কোথাও লিক থাকলে দ্রুত মেরামত করুন। সপ্তাহে এক–দু’দিন গরম জলের সঙ্গে লবণ বা বেকিং সোডা ড্রেনে ঢাললে দুর্গন্ধ ও পোকা দুটোই কমবে।
তেজপাতা ও লবঙ্গের ব্যবহার
রাসায়নিক ছাড়াই তেলাপোকা তাড়াতে তেজপাতা ও লবঙ্গ বেশ কার্যকর। শস্যের পাত্র, ড্রয়ার বা অন্ধকার কোণে তেজপাতা গুঁড়ো করে রাখুন। মসলার তাকের কাছে কয়েকটি লবঙ্গ রাখলে তীব্র গন্ধে তেলাপোকা দূরে থাকবে।
শীতকালে একটু সচেতন হলেই রান্নাঘর রাখা যায় তেলাপোকামুক্ত।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: শীতকালে কেন তেলাপোকা রান্নাঘরে বেশি দেখা যায়?
উত্তর: শীতে রান্নাঘর উষ্ণ ও আর্দ্র থাকায় তেলাপোকা সেখানে আশ্রয় নেয়।
প্রশ্ন ২: সিলিকন সিল্যান্ট ব্যবহার কি সত্যিই কার্যকর?
উত্তর: হ্যাঁ, ফাঁক বন্ধ করলে তেলাপোকার প্রবেশের পথ কমে যায়।
প্রশ্ন ৩: তেজপাতা কতদিন পর বদলানো উচিত?
উত্তর: ৭–১০ দিন অন্তর বদলালে ভালো ফল পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ৪: বেকিং সোডা কি ড্রেন পরিষ্কারে নিরাপদ?
উত্তর: হ্যাঁ, এটি নিরাপদ ও দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ৫: শীতে কীটনাশক ব্যবহার জরুরি কি না?
উত্তর: হালকা উপদ্রবে ঘরোয়া উপায়ই যথেষ্ট, বেশি হলে পেশাদারের সাহায্য নিন।

