শীত পড়তেই কি বুকে কফ জমে যাচ্ছে? গলা খুসখুস, সর্দি-কাশি যেন পিছু ছাড়ছে না? ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শরীর একটু দুর্বল হলেই নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়।
শীতকালে বাতাসে ধূলিকণা ও রোগজীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে অ্যালার্জি, সর্দি-কাশি, বুকে কফ জমার সমস্যা খুবই সাধারণ হয়ে ওঠে। এই সময় ঘরোয়া উপায়ে সুস্থ থাকতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন তুলসীপাতার চায়ের উপর।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কালো কফির বদলে তুলসীপাতার চা পান করলে শরীরের ভেতরের টক্সিন দূর হতে সাহায্য করে। এতে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
শীতকালে ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়ে যায়। নিয়মিত তুলসীপাতার চা খেলে ত্বকের র্যাশ, চুলকানি কমে এবং চুলে স্বাভাবিক জেল্লা ফিরে আসে।
অনেকেরই শীতে শ্বাসকষ্ট, বাতের ব্যথা বা দীর্ঘদিনের সর্দি-কাশির সমস্যা বেড়ে যায়। বুকে কফ জমে অস্বস্তি হলে সকালে এই ভেষজ চায়ে চুমুক দিলেই অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।
শীত মানেই ভুরিভোজ—বিয়েবাড়ি, পিকনিক, উৎসবের খাওয়াদাওয়া। অনিয়মিত খাবারের ফলে বদহজম হলে তুলসীপাতার চা হজমে সহায়তা করে।
এছাড়াও কম জল খাওয়ার কারণে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া বা পেটে পাথরের সমস্যা থাকলেও এই চা উপকারী হতে পারে।
কীভাবে তুলসীপাতার চা বানাবেন:
একটি পাত্রে জল গরম করুন। তাতে কয়েকটি তুলসীপাতা ও সামান্য আদা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে নিয়ে একটি টিব্যাগ ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: শীতে বুকে কফ জমলে তুলসীপাতার চা কি উপকারী?
উত্তর: হ্যাঁ, তুলসীপাতার চা বুকে জমা কফ কমাতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন ২: প্রতিদিন তুলসীপাতার চা পান করা কি নিরাপদ?
উত্তর: সাধারণত প্রতিদিন এক কাপ পান করা নিরাপদ।
প্রশ্ন ৩: এই চা কি সর্দি-কাশি সারাতে সাহায্য করে?
উত্তর: নিয়মিত পান করলে সর্দি-কাশির উপসর্গ অনেকটাই কমে।
প্রশ্ন ৪: বদহজমের সমস্যায় কি এই চা কাজ করে?
উত্তর: হ্যাঁ, হজম শক্তিশালী করতে তুলসীপাতার চা সহায়ক।
প্রশ্ন ৫: তুলসীপাতার চা কখন খাওয়া সবচেয়ে ভালো?
উত্তর: সকালে খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

