পশ্চিমবঙ্গে SIR শুনানির আগে মাইক্রো অবজ়ার্ভার নিয়ে জট, চাপে নির্বাচন কমিশন

Published By: Khabar India Online | Published On:

শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা SIR শুনানি শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু তার এক দিন আগেও মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের ডিউটি নিয়ে জট কাটল না। ফলে শুনানির প্রস্তুতি নিয়ে শেষ মুহূর্তে অস্বস্তিতে Election Commission of India

শুনানির সময় নজরদারির জন্য প্রায় ৪৬০০ জন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীকে মাইক্রো অবজ়ার্ভার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতি কেন্দ্রে ১১ জন করে অবজ়ার্ভার থাকার কথা। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করা হলেও, বাস্তবে অনেকেই এই ডিউটি নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

শুক্রবারও রাজ্যের সিইও দফতরের সামনে ভিড় করেন বহু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী। কেউ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অব্যাহতি চেয়েছেন, কেউ আবার ব্যক্তিগত কারণে—যেমন বিয়ে বা পারিবারিক দায়িত্ব—ডিউটি করতে অক্ষম বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, নিয়োগের আগে তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি এবং অনেককে বাড়ি থেকে বহু দূরের শুনানি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

ঝাড়গ্রাম থেকে এসে এক কর্মীর পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পরেও তাঁকে উত্তরবঙ্গের একটি কেন্দ্রে SIR শুনানির ডিউটি দেওয়া হয়েছে, যা তাঁর পক্ষে শারীরিক ভাবে সম্ভব নয়। আবার অন্য এক কর্মীর বক্তব্য, নির্ধারিত বিয়ের তারিখের সঙ্গে শুনানির সময় মিলে যাওয়ায় তিনি সমস্যায় পড়েছেন।

কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ২০০ জন মাইক্রো অবজ়ার্ভার ডিউটিতে যোগ দিতে অনিচ্ছুক বলে জানিয়েছেন। তাঁদের শো-কজ় নোটিস পাঠানো হয়েছে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি, যাঁদের সমস্যা গুরুতর, তাঁদের ক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া হবে এবং প্রয়োজনে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।

প্রশ্ন ও উত্তর

1. SIR শুনানি কী?
ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ায় ওঠা দাবি ও আপত্তি শোনার জন্যই SIR শুনানি।

2. মাইক্রো অবজ়ার্ভারের ভূমিকা কী?
শুনানি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা ও নজরদারির দায়িত্বে থাকেন মাইক্রো অবজ়ার্ভাররা।

3. কেন অব্যাহতি চাইছেন অনেকে?
অসুস্থতা, দূরবর্তী ডিউটি কেন্দ্র এবং ব্যক্তিগত কারণের জন্য বহু কর্মী সমস্যার কথা জানিয়েছেন।

4. কত জন মাইক্রো অবজ়ার্ভার নিয়োগ করা হয়েছে?
প্রায় ৪৬০০ জন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীকে এই কাজে নিয়োগ করা হয়েছে।

5. কমিশন কী পদক্ষেপ নিতে পারে?
আবেদনগুলি খতিয়ে দেখে গুরুতর সমস্যার ক্ষেত্রে অব্যাহতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে কমিশন।