জিম ছাড়াই ওজন কমাতে চান? মেনে চলুন এই সহজ নিয়মগুলো

Published By: Khabar India Online | Published On:

ওজন কমানোর কথা উঠলেই অনেকের মনে ভয়ের সঞ্চার হয়। কঠিন ডায়েট, প্রিয় খাবার ত্যাগ আর জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিশ্রম—সব মিলিয়ে বিষয়টি যেন অসম্ভব মনে হয়। কিন্তু বাস্তবে চিত্রটা একেবারেই আলাদা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাত্রায় সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলেই ধীরে ধীরে ১০ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। এর জন্য কোনো ক্র্যাশ ডায়েট বা অতিরিক্ত শরীরচর্চার প্রয়োজন নেই। স্থূলতা শুধু শরীরের গঠনই নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলে। তাই সময় থাকতে সচেতন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

যারা প্রতিদিন ব্যায়ামের সময় পান না, তাদের জন্য খাদ্যাভ্যাসই হতে পারে সবচেয়ে বড় সহায়। ক্যালোরি, প্রোটিন, ফাইবার ও ফ্যাটের সঠিক সমন্বয় বুঝে খাবার নির্বাচন করলে ওজন নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হয়।

এই ক্ষেত্রে জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত চিনি ও প্রসেসড খাবার বাদ দেওয়া জরুরি। সাদা চাল বা ময়দার বদলে ব্রাউন রাইস, কিনোয়া কিংবা মাল্টিগ্রেন আটা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। সকালের নাস্তা কখনোই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি সারাদিনের শক্তির ভিত্তি তৈরি করে।

প্যাকেটজাত স্ন্যাকসের বদলে ঘরে তৈরি মাখানা, ছোলা বা বাদাম ভালো বিকল্প। বর্তমানে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংও ওজন কমানোর একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি, তবে এটি শুরু করতে হবে ধীরে এবং শরীরের ক্ষমতা বুঝে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘ক্যালোরি ডেফিসিট’। অর্থাৎ প্রতিদিন যত ক্যালোরি খরচ হবে, তার তুলনায় কম ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। নিয়ম মেনে এক থেকে দেড় মাস চললেই ওজনে স্পষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

প্রশ্ন ও উত্তর

  1. জিম ছাড়াই কি সত্যিই ওজন কমানো সম্ভব?
    হ্যাঁ, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে জিম ছাড়াও ওজন কমানো যায়।

  2. সকালের নাস্তা বাদ দিলে কি ওজন দ্রুত কমে?
    না, সকালের খাবার বাদ দিলে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়।

  3. ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কি সবার জন্য নিরাপদ?
    সবার জন্য নয়, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ দরকার।

  4. কোন খাবার সবচেয়ে বেশি ওজন বাড়ায়?
    জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত চিনি ও প্রসেসড খাবার দ্রুত ওজন বাড়ায়।

  5. কত দিনে ওজন কমার ফল দেখা যায়?
    সাধারণত ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়।