একটি ছোট ক্যামেরা, কিন্তু অসাবধান হলে বিপদ বিশাল—এই বাস্তবতাই আজকের ডিজিটাল জীবনে ওয়েবক্যাম ব্যবহারের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। করোনা পর্বের পর অনলাইন মিটিং, হাইব্রিড কাজ কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে ভিডিও কলে ওয়েবক্যাম এখন নিত্যসঙ্গী। তবে এই সুবিধার আড়ালেই লুকিয়ে রয়েছে বড় প্রাইভেসি ঝুঁকি।
হ্যাকার বা ম্যালওয়্যার খুব সহজেই ওয়েবক্যামের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে, যদি ব্যবহারকারী একটু অসতর্ক হন। তাই সময় থাকতেই কিছু সাধারণ নিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
ওয়েবক্যাম চালুর আগে তার পজিশন, ফ্রেমিং এবং সেটিংস ঠিক আছে কি না ভালো করে দেখে নিন। হঠাৎ জুম বা অ্যাঙ্গেল বদলে গেলে সেটি সতর্কতার সংকেত হতে পারে।
যখন ওয়েবক্যামের প্রয়োজন নেই, তখন অবশ্যই ক্যাপ বা টেপ দিয়ে ঢেকে রাখুন। এটি সবচেয়ে সহজ কিন্তু কার্যকর সুরক্ষা পদ্ধতি।
নতুন অ্যাপ ইনস্টল করার সময় অপ্রয়োজনে ওয়েবক্যামের অনুমতি দেবেন না। পাশাপাশি লাইসেন্সড অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টি-স্পাইওয়্যার ব্যবহার করুন, যাতে ম্যালিশিয়াস ফাইল বা লিঙ্ক আগেই ধরা পড়ে।
অপরিচিত ই-মেইল, লিঙ্ক বা অ্যাটাচমেন্ট এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে ওয়েবক্যাম সম্পূর্ণভাবে ডিজেবল করে রাখাও নিরাপদ সিদ্ধান্ত হতে পারে। নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট ও ফায়ারওয়াল এনেবল রাখলে সুরক্ষা আরও জোরদার হয়।
ডিজিটাল দুনিয়ায় সচেতনতাই সবচেয়ে বড় সুরক্ষা। একটু সতর্ক হলেই ওয়েবক্যাম হ্যাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন 1: ওয়েবক্যাম হ্যাক হওয়া কি সত্যিই সম্ভব?
হ্যাঁ, ম্যালওয়্যার বা ফিশিংয়ের মাধ্যমে ওয়েবক্যাম হ্যাক হওয়া একটি বাস্তব সমস্যা।
প্রশ্ন 2: ওয়েবক্যাম ঢেকে রাখলে কি নিরাপত্তা বাড়ে?
অবশ্যই, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত নজরদারি থেকে রক্ষা করে।
প্রশ্ন 3: কোন অ্যাপকে ওয়েবক্যাম অনুমতি দেওয়া উচিত?
শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ও বিশ্বাসযোগ্য অ্যাপকেই অনুমতি দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন 4: অ্যান্টিভাইরাস কি ওয়েবক্যাম সুরক্ষায় সাহায্য করে?
হ্যাঁ, ভালো অ্যান্টিভাইরাস ম্যালওয়্যার শনাক্ত করে ঝুঁকি কমায়।
প্রশ্ন 5: ফায়ারওয়াল কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ফায়ারওয়াল অননুমোদিত প্রবেশ আটকিয়ে ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখে।

