হঠাৎ করেই সিরিয়ার আকাশে যুদ্ধবিমানের গর্জন—নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি। কট্টর জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান ‘অপারেশন হোকিয়ে’।
শুক্রবার থেকে এই অভিযান চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার যৌথ বাহিনী। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক বিবৃতিতে জানান, আইএসের যোদ্ধা, ঘাঁটি, অবকাঠামো ও অস্ত্রের ডিপো লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হচ্ছে।
বর্তমানে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। গত সপ্তাহে মধ্যাঞ্চলীয় শহর পালমিরায় একটি মার্কিন-সিরীয় গাড়িবহরে আইএসের বন্দুক হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন দোভাষী নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন সেনা। সেই ঘটনার জবাব হিসেবেই এই অভিযান শুরু বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, হামলাকারী আগে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন এবং পরে আইএসে যোগ দেন। এই তথ্য পরিস্থিতিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর জানায়, অভিযানের প্রথম দিনেই আইএসের প্রায় ৭০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে এফ-১৫ ও এ-১০ যুদ্ধবিমান, অ্যাপাচে হেলিকপ্টার এবং হিমার্স রকেট সিস্টেম।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, এটি কোনো পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সূচনা নয়, বরং সীমিত ও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ। অভিযান চলমান থাকবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
একই দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর এই কঠোর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
প্রশ্ন ১: অপারেশন হোকিয়ে কেন শুরু হলো?
উত্তর: পালমিরায় মার্কিন সেনাদের ওপর আইএস হামলার জবাব হিসেবেই এই অভিযান শুরু।
প্রশ্ন ২: অভিযানে কারা অংশ নিচ্ছে?
উত্তর: যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার যৌথ সামরিক বাহিনী।
প্রশ্ন ৩: কোন অস্ত্র ও বিমান ব্যবহার করা হয়েছে?
উত্তর: এফ-১৫, এ-১০ যুদ্ধবিমান, অ্যাপাচে হেলিকপ্টার ও হিমার্স রকেট সিস্টেম।
প্রশ্ন ৪: এটি কি নতুন যুদ্ধের সূচনা?
উত্তর: না, যুক্তরাষ্ট্র একে সীমিত প্রতিশোধমূলক অভিযান বলছে।
প্রশ্ন ৫: অভিযানের সময়কাল কতদিন চলবে?
উত্তর: নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি, পরিস্থিতি অনুযায়ী চলবে।

