হঠাৎ করেই আবার কড়াকড়ি নীতিতে ফিরল হোয়াইট হাউজ। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও বড় করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজের ঘোষণায় জানানো হয়েছে, নতুন করে আরও ৭টি দেশ ও ভূখণ্ডের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের।
নতুন তালিকায় রয়েছে সিরিয়া, ফিলিস্তিন, বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, লাওস এবং সিয়েরা লিওন। এর মধ্যে লাওস ও সিয়েরা লিওন আগে আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকলেও এবার পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হলো।
হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব দেশের নাগরিকদের তথ্য যাচাই, স্ক্রিনিং ও নথি আদান–প্রদানে গুরুতর ঘাটতি রয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
বিশেষভাবে সিরিয়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেখানে এখনও কার্যকর কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্ভরযোগ্য নাগরিক নথি ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। ভিসা ওভারস্টে হারও এই সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে। পর্যটক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ অভিবাসী ও অনভিবাসী—সব ধরনের ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য হবে।
এর আগেও ট্রাম্প প্রশাসন ১২টি দেশের ওপর পূর্ণ ও আরও কয়েকটি দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যা এখনও বহাল রয়েছে। ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই অভিবাসন নিয়ন্ত্রণকে অন্যতম অগ্রাধিকার হিসেবে দেখছেন ট্রাম্প।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: নতুন করে কতটি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: নতুন করে ৭টি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ২: কোন কোন দেশ এই তালিকায় রয়েছে?
উত্তর: সিরিয়া, ফিলিস্তিন, বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, লাওস ও সিয়েরা লিওন।
প্রশ্ন ৩: কবে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে?
উত্তর: আগামী ১ জানুয়ারি থেকে।
প্রশ্ন ৪: এই নিষেধাজ্ঞা কি সব ধরনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
উত্তর: হ্যাঁ, পর্যটক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
প্রশ্ন ৫: নিষেধাজ্ঞার মূল কারণ কী?
উত্তর: জাতীয় নিরাপত্তা, দুর্বল যাচাই ব্যবস্থা ও ভিসা ওভারস্টে ঝুঁকি।

