ঠাকুরপুকুরের ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ করেই তৈরি হল এক রক্তাক্ত দৃশ্য, যা দেখে স্তব্ধ হয়ে যায় সকলে। বেপরোয়া গতিতে আসা একটি বেসরকারি বাস মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একের পর এক গাড়ি ও মোটরসাইকেলে ধাক্কা মারে। আর সেই ভয়ঙ্কর ধাক্কার জেরেই পা হারালেন এক বাইক আরোহী। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটে বুধবার সকালে বেহালার ঠাকুরপুকুরে, ডায়মন্ড হারবার রোড ও সখেরবাজার মেট্রো এলাকার কাছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাসটি আচমকা সোজা রাস্তা ছেড়ে গাড়ি ও দু’টি মোটরবাইকের উপর উঠে যায়। প্রচণ্ড আঘাতে বাইক আরোহীরা ছিটকে পড়েন রাস্তায়। তাঁদের মধ্যে ৫৩ বছরের সুজিত খামারু, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা, গুরুতর আহত হন। বাসের ধাক্কায় তিনি ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে হাঁটুর নীচ থেকে পুরো ডান পা হারান। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হলে তাঁকে মিন্টো পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তাঁর পা জোড়া লাগানোর চেষ্টা হলেও, আহত অংশটির অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি।
একই দুর্ঘটনায় জখম হন আরও এক বাইকচালক, ৩৫ বছরের ইমরান আলি মোল্লা। তিনিও বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বাসচালক পলাতক। পুলিশ তাঁর সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে। স্থানীয়দের দাবি, ওই রুটে বেপরোয়া গতির বাস বহুবার বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং বাসটিও জব্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
১. দুর্ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে?
বেহালার ঠাকুরপুকুরে, ডায়মন্ড হারবার রোড ও সখেরবাজার মেট্রোর কাছে।
২. কত জন আহত হয়েছেন?
দুই জন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজনের পা কেটে যায়।
৩. গুরুতর আহত ব্যক্তি কে?
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা সুজিত খামারু, যার ডান পা হাঁটুর নীচ থেকে আলাদা হয়ে যায়।
৪. বাসচালক কি ধরা পড়েছেন?
না, তিনি পলাতক। পুলিশ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে।
৫. আহতদের কোথায় চিকিৎসা চলছে?
সুজিতকে মিন্টো পার্কের বেসরকারি হাসপাতালে এবং ইমরান মোল্লাকে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

