অকালের ঝড়ে ভেঙে পড়া এক সাংবাদিক পরিবারের জীবনে অবশেষে এলো আশার আলো। কোচবিহারে সরকারি অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করলেন—প্রয়াত সাংবাদিক সুমিতেশ ঘোষের স্ত্রী শিপ্রা ঘোষকে তিনি নিজের ব্যক্তিগত কোটায় সরকারি চাকরি দেবেন। এ সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তা কাটল পরিবারটির।
জেলার সাংবাদিকরা মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানালে তিনি তৎক্ষণাৎ আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানান, “সুমিতেশ ঘোষের পরিবারের সমস্যা আমার জানা হয়েছে। আমি আমার কোটায় ওঁর স্ত্রীর চাকরির ব্যবস্থা করব।” তাঁর এই বক্তব্যে উপস্থিত সাংবাদিকদের অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সুমিতেশ ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে জেলার সমস্যা, মানুষের লড়াই, বাস্তব চিত্র তুলে ধরার ক্ষেত্রে ছিলেন অগ্রণী মুখ। কিন্তু গুরুতর আর্থিক অনটন জীবনের শেষ প্রহরে তাঁকে দুঃসহ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। তাঁর মৃত্যুতে সাংবাদিক মহলে নেমে এসেছিল গভীর শোক ও ক্ষোভ। বহুদিন ধরেই দাবি উঠছিল তাঁর পরিবারকে সরকারি সহায়তা দেওয়ার।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় সেই দাবি বাস্তবে রূপ পেল। স্থানীয় সাংবাদিক মহল এটিকে শুধু সহায়তা নয়, সংবাদকর্মী সমাজের প্রতি সম্মান হিসেবে দেখছেন।
শিপ্রা ঘোষ জানান, “দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটছিল দিন। আজ মুখ্যমন্ত্রী চাকরির কথা বলায় নতুন করে ভরসা পেলাম। সকল সাংবাদিকদের ধন্যবাদ।”
সমাজের বিভিন্ন স্তরে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত প্রশংসিত হচ্ছে। বহু মানুষ মনে করছেন, এটি মানবিকতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ এবং ভবিষ্যতে অন্য সাংবাদিক পরিবারগুলির কাছেও আশার আলো হিসেবে কাজ করবে।
1. সুমিতেশ ঘোষ কে ছিলেন?
তিনি কোচবিহারের এক নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক, যিনি বহু বছর ধরে জেলার নানা সমস্যা তুলে ধরতেন।
2. তাঁর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা কেন করা হলো?
পরিবারটি চরম আর্থিক সংকটে পড়েছিল, তাই সাংবাদিক সমাজের অনুরোধে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
3. চাকরিটি কোন কোটায় দেওয়া হবে?
মুখ্যমন্ত্রী নিজের ব্যক্তিগত কোটায় চাকরি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
4. সাংবাদিক সমাজের প্রতিক্রিয়া কী?
তাঁরা এটিকে সম্মান ও মানবিকতার প্রতীক বলে মনে করছেন।
5. এ সিদ্ধান্ত অন্যান্য সাংবাদিক পরিবারের ওপর কী প্রভাব ফেলতে পারে?
এটি তাঁদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করবে বলে অনেকে মনে করছেন।

