সারাদিনের কাজ শেষে রাতে শুতে যাওয়ার আগে মাত্র কয়েক মিনিট—এই ছোট অভ্যাসটাই বদলে দিতে পারে আপনার পায়ের ত্বক। হাঁটা, দাঁড়ানো, দৌড়ঝাঁপে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে পায়ের উপর, অথচ আমরা পায়ের যত্নে সবচেয়ে কম সময় দিই। ফল? শুষ্কতা, ফাটা গোড়ালি আর রুক্ষ ত্বক।
ভাগ্য ভালো, এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে ঘরের মধ্যেই। রান্নাঘরে রাখা খাঁটি নারকেল তেলই হতে পারে পা নরম ও মসৃণ রাখার সহজ ঘরোয়া উপায়। নারকেল তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়।
রাতে ঘুমানোর আগে পা ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। সামান্য হালকা গরম নারকেল তেল নিয়ে পায়ের তলায় ও গোড়ালিতে কয়েক মিনিট আলতো ম্যাসাজ করুন। এতে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, পায়ের ক্লান্তি কমে এবং ত্বক নরম হতে শুরু করে। চাইলে মোজা পরে ঘুমাতে পারেন, এতে তেল ভালোভাবে কাজ করবে।
আরও ভালো ফল পেতে সপ্তাহে দু’দিন ঘরে বানানো স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। এক চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক চামচ কফি পাউডার মিশিয়ে পায়ের তলায় ৮–১০ মিনিট আলতো করে ঘষুন। মৃত কোষ দূর হবে, ত্বক হবে আরও মসৃণ।
ফাটা পা বা অতিরিক্ত শুষ্কতার জন্য অ্যালোভেরা জেলও কার্যকর। রাতে জেল লাগিয়ে মোজা পরে ঘুমালে পরদিন সকালেই পার্থক্য বোঝা যায়। চাইলে ভিটামিন ই–সমৃদ্ধ জলপাই তেল দিয়েও ম্যাসাজ করতে পারেন, যা পায়ের ত্বক কোমল রাখতে সাহায্য করে।
নিয়মিত যত্ন নিলে নারকেল তেল পায়ের দুর্গন্ধ কমাতে, হিল ক্র্যাক সারাতে এবং ত্বকের কালচে ভাব হালকা করতেও সহায়তা করে। তবে যাদের ত্বক খুব সেনসিটিভ বা অয়েলি, তারা আগে অল্প জায়গায় পরীক্ষা করে নিন। এটি কোনও চিকিৎসা পরামর্শ নয়, শুধুমাত্র সাধারণ যত্নের তথ্য।
প্রশ্ন ও উত্তর
১. প্রতিদিন নারকেল তেল পায়ে লাগানো কি নিরাপদ?
হ্যাঁ, সাধারণত নিরাপদ। তবে সেনসিটিভ ত্বকে আগে প্যাচ টেস্ট করুন।
২. কতদিনে পা নরম হতে শুরু করবে?
নিয়মিত ব্যবহার করলে ৪–৫ দিনের মধ্যেই পরিবর্তন টের পাওয়া যায়।
৩. মোজা পরে ঘুমানো কি জরুরি?
জরুরি নয়, তবে মোজা পরলে তেল ভালোভাবে শোষিত হয়।
৪. ফাটা গোড়ালিতে কি এটি কাজ করে?
হ্যাঁ, নিয়মিত ম্যাসাজ করলে ফাটা ভাব অনেকটাই কমে।
৫. নারকেল তেলের বদলে অন্য তেল ব্যবহার করা যায়?
জলপাই তেল বা বাদাম তেল ব্যবহার করা যায়, তবে নারকেল তেল বেশি কার্যকর।

