ঠাকুরনগরের রাজনীতিতে হঠাৎ করেই আগুন—এক মন্তব্য ঘিরে বদলে গেল গোটা ছবিটা। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী Shantanu Thakur-এর বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। মতুয়াদের দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা, পরে তা হাতাহাতিতে গড়ায় বলে অভিযোগ।
এই অশান্তির সূত্রপাত কয়েক দিন আগে বাগদার এক সভায় শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্যকে ঘিরে। সিএএ ও এসআইআর প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে সহযোগিতা করতে গিয়ে যদি এসআইআর-এর সমস্যা মেনে নিতে হয়, তাতেও আপত্তি নেই। আরও বিতর্ক তৈরি হয় তাঁর সেই মন্তব্যে, যেখানে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি মুসলমানদের নাম বাদ দিতে গিয়ে মতুয়া সমাজের একাংশ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হলে সেটিকে ‘লাভজনক’ বলে উল্লেখ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এই মন্তব্য ঘিরেই মতুয়াদের মধ্যে ধন্দ ও ক্ষোভ তৈরি হয়। বিষয়টিকে হাতিয়ার করে মাঠে নামে তৃণমূল। প্রাক্তন সাংসদ ও তৃণমূল নেত্রী Mamata Bala Thakur শান্তনুর বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দেন। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তাঁর অনুগামীরা মিছিল করে শান্তনুর বাড়ির সামনে পৌঁছন। অভিযোগ, সেখানেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে, কেড়ে নেওয়া হয় ব্যানার, চলে মারধর।
মমতাবালার দাবি, শান্তনুর বক্তব্যে মতুয়া সমাজ ক্ষুব্ধ ছিল বলেই জবাব চাইতে গিয়েছিল। তাঁদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদিকে, শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীদের পাল্টা দাবি, অশান্তি পাকাতেই এই ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল এবং তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় মতুয়া সমাজের অভ্যন্তরীণ বিভাজন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
প্রশ্ন ও উত্তর
Q1. ঠাকুরনগরের অশান্তির মূল কারণ কী?
A1. শান্তনু ঠাকুরের সিএএ ও এসআইআর সংক্রান্ত মন্তব্য থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।
Q2. কারা কারা সংঘর্ষে জড়িয়েছেন?
A2. শান্তনু ঠাকুর ও মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামী মতুয়াদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
Q3. মমতাবালা ঠাকুর কেন ঘেরাওয়ের ডাক দেন?
A3. তিনি দাবি করেন, শান্তনুর মন্তব্যে মতুয়া সমাজ অপমানিত ও বিভ্রান্ত হয়েছে।
Q4. শান্তনু ঠাকুর কী বলছেন এই বিতর্কে?
A4. তাঁর দাবি, বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
Q5. বর্তমানে ঠাকুরনগরের পরিস্থিতি কেমন?
A5. পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

