ক্যারিয়ারের শুরুতেই এক বোলারের কাছ থেকে এমন অনুপ্রেরণা পাওয়া অনেকেরই হয় না। পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন আফ্রিদির ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে—আর সেই অনুপ্রেরণার জায়গায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেস কিংবদন্তি মিচেল স্টার্ক।
স্টার্কের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উত্থানটা চোখের সামনে দেখেছেন শাহিন। আইডল ওয়াসিম আকরামের পাশাপাশি স্টার্ক তার ক্যারিয়ায় বিশেষ প্রভাব রেখেছেন বলে এক সাক্ষাৎকারে জানান তিনি। স্টার্ক যখন ২০১৫ বিশ্বকাপে আগুনঝরা বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে দমিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন পাকিস্তান অনূর্ধ্ব–১৬ দলে খেলতেন শাহিন। সেই সময়ই তিনি শিখেছিলেন—একজন পেসার কীভাবে বল সুইং করিয়ে ম্যাচের চেহারা পাল্টে দিতে পারে।
শাহিন বলেন, স্টার্কের লম্বা লেংথে ধারাবাহিক আক্রমণ তাকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছিল। নিজের বোলিং স্টাইলে আজও তিনি সেই শিক্ষাই কাজে লাগান। তরুণ বয়সে বহুবার স্টার্কের অ্যাকশন নকল করার চেষ্টা করতেন বলেও জানান তিনি।
এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা হলে স্টার্কের সঙ্গে কথা বলেন শাহিন। জানান, স্টার্কের বোলিং দেখেই তিনি ব্যাটারদের সামনে ফুল লেংথে বল করতে অভ্যস্ত হয়েছেন। তার মতে, স্টার্ক শুধু অস্ট্রেলিয়ার নয়—বিশ্বের যেকোনো তরুণ পেসারের জন্যই এক অনবদ্য রোলমডেল।
বর্তমান অ্যাশেজেও দুর্দান্ত ছন্দে আছেন স্টার্ক। প্রথম দুই ম্যাচে নিয়েছেন ১৮ উইকেট, হয়েছেন দুইবার ম্যাচসেরা। তার বোলিংয়েই সিরিজে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া।
1. শাহিন আফ্রিদির বোলিংয়ে কার বেশি প্রভাব আছে?
স্টার্ক ও ওয়াসিম আকরাম—দু’জনই তার আইডল বলে জানিয়েছেন।
2. ২০১৫ বিশ্বকাপে স্টার্ক কীভাবে প্রভাব ফেলেছিলেন?
তিনি ছিলেন টুর্নামেন্টের শীর্ষ উইকেটশিকারিদের একজন এবং অস্ট্রেলিয়ার শিরোপাজয়ে বড় ভূমিকা রাখেন।
3. শাহিন কখন প্রথম স্টার্ককে দেখেছিলেন?
পাকিস্তান অনূর্ধ্ব–১৬ দলে খেলাকালীন সময়ে।
4. স্টার্কের কাছ থেকে ঠিক কী শিখেছেন শাহিন?
মূলত ফুল লেংথে বল করা ও সুইং করানোর কৌশল।
5. অ্যাশেজ সিরিজে স্টার্কের পারফরম্যান্স কেমন?
প্রথম দুই ম্যাচে নিয়েছেন ১৮ উইকেট এবং দু’বার হয়েছেন ম্যাচসেরা।

