যুদ্ধের ময়দান থেকে আসা এক চাঞ্চল্যকর তথ্য নতুন করে আলোচনায় ফেলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতকে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা যুদ্ধে নিহত হয়েছেন— এমনই দাবি করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রিয়ে বেলৌসোভ এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই তথ্য তুলে ধরেন। রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বোর্ড মিটিংয়ে এই বক্তব্য দেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।
বেলৌসোভের দাবি অনুযায়ী, বিপুলসংখ্যক সেনা হারানোর ফলে ভবিষ্যতে ইউক্রেনের পক্ষে এই ক্ষতি পূরণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী প্রাণহানির কারণে সাধারণ মানুষ এখন সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানে আগ্রহ হারাচ্ছে।
সেনা ক্ষতির পাশাপাশি চলতি বছরে ইউক্রেন ১ লাখ ৩ হাজারের বেশি সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে বলেও জানান রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার ৫০০টি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান রয়েছে, যেগুলোর বড় অংশ পশ্চিমা দেশগুলোর দেওয়া সহায়তা ছিল।
উল্লেখ্য, ন্যাটোতে যোগদানের চেষ্টা এবং ক্রিমিয়া ইস্যুকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন সরকার ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে সেনাবাহিনীতে যোগদানের ন্যূনতম বয়সও কমানো হয়।
এদিকে বাধ্যতামূলক সেনা সংগ্রহকে ঘিরে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ মানুষ ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবরও সামনে এসেছে। তবে রাশিয়ার এসব দাবির বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইউক্রেন সরকার।
প্রশ্ন ও উত্তর
রাশিয়া কী দাবি করেছে?
রাশিয়ার দাবি, চলতি বছরে ইউক্রেন প্রায় ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে।
এই তথ্য কোথায় জানানো হয়েছে?
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বোর্ড মিটিংয়ে।
ইউক্রেন কী ধরনের সামরিক ক্ষতির মুখে পড়েছে?
সেনা ছাড়াও বিপুলসংখ্যক ট্যাংক ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে।
সেনাবাহিনীতে যোগদানের বয়স কি পরিবর্তন হয়েছে?
হ্যাঁ, আগে ২৭ বছর থাকলেও তা কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়েছে।
ইউক্রেন কি রাশিয়ার দাবির জবাব দিয়েছে?
না, এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

