একই ফল, অথচ রঙ আলাদা—তাতেই কি বদলে যায় উপকারিতা? আঙুর খেতে ভালোবাসেন অনেকেই, কিন্তু সবুজ নাকি লাল—কোন আঙুর স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
আঙুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও প্রাকৃতিক শর্করায় ভরপুর একটি জনপ্রিয় ফল। বাজারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় লাল ও সবুজ আঙুর। পুষ্টিগুণের দিক থেকে দু’টিই উপকারী হলেও কিছু জায়গায় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য।
পুষ্টিগুণে মিল ও অমিল
লাল ও সবুজ—দু’ধরনের আঙুরেই রয়েছে প্রচুর জলীয় অংশ, ভিটামিন ‘সি’ ও ভিটামিন ‘কে’। ক্যালরি ও ফাইবারের পরিমাণ প্রায় সমান। তবে রঙের তারতম্যের কারণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রায় পার্থক্য দেখা যায়।
লাল আঙুর কেন একটু এগিয়ে?
লাল আঙুরের খোসায় থাকে রেসভেরাট্রল নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়, খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে। পাশাপাশি কোষের ক্ষয় রোধ করে বার্ধক্য ধীর করতেও কার্যকর।
সবুজ আঙুরের আলাদা শক্তি
সবুজ আঙুরে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ও কোয়ারসেটিন শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন ‘কে’ বেশি থাকায় হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, হৃদযন্ত্র ও বার্ধক্য প্রতিরোধে লাল আঙুর সামান্য এগিয়ে থাকলেও সবুজ আঙুরও কম যায় না। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত ফল খাওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—রঙ যাই হোক না কেন।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: লাল আঙুর কি সবুজ আঙুরের চেয়ে বেশি উপকারী?
উত্তর: হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দিক থেকে লাল আঙুর কিছুটা এগিয়ে।
প্রশ্ন ২: সবুজ আঙুর কি হাড়ের জন্য ভালো?
উত্তর: হ্যাঁ, এতে থাকা ভিটামিন ‘কে’ হাড়ের স্বাস্থ্যে সহায়ক।
প্রশ্ন ৩: প্রতিদিন আঙুর খাওয়া কি নিরাপদ?
উত্তর: পরিমিত পরিমাণে প্রতিদিন আঙুর খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী।
প্রশ্ন ৪: ডায়াবেটিস রোগীরা কোন আঙুর খাবেন?
উত্তর: সীমিত পরিমাণে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যেকোনো আঙুর খাওয়া যেতে পারে।
প্রশ্ন ৫: আঙুরের খোসা খাওয়া কি দরকার?
উত্তর: খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে, তাই ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়াই ভালো।

