চুল পড়া এতটাই বেড়ে গেছে যে আয়নায় তাকাতে ভয় লাগে? এমন অবস্থায় ঘরোয়া একটি সহজ উপায় অনেককেই অবাক করছে—আনারস স্ক্যাল্প ট্রিটমেন্ট।
আনারসে থাকা ভিটামিন-সি, ব্রোমেলিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্ক্যাল্পকে পুষ্টি দেয়, রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং হেয়ারফল কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ক্ষতিগ্রস্ত, রুক্ষ ও ভঙ্গুর চুলও ধীরে ধীরে মজবুত হয়ে ওঠে।
চুলে আনারসের রস লাগাতে কোনও জটিলতা নেই। একটি পাকা আনারস ভালোভাবে ব্লেন্ড করে রস ছেঁকে নিন। এবার সেই রস স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২০–৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার করলেই ফল অনুভব করা যায়।
অনেকের স্ক্যাল্পে ড্যান্ড্রাফ, চুলকানি বা অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব থাকে। আনারসের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ এসব সমস্যা নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর। এটি স্ক্যাল্পকে ক্লিন ও হেলদি রাখে, ফলে চুল নতুন করে গজানোর পরিবেশ তৈরি হয়।
তবে কারও স্ক্যাল্প খুব সেনসিটিভ হলে আগে একটি প্যাচ টেস্ট করে নিন। কোনও জ্বালা, র্যাশ বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা হলে ব্যবহার বন্ধ করাই ভালো।
শেষমেশ, নিয়মিত যত্নের সঙ্গে এই আনারস ট্রিটমেন্ট যুক্ত করতে পারলে হেয়ারফল কমে এবং ড্যামেজ চুলও অনেকটাই রিপেয়ার হয়ে যায়—প্রাকৃতিক ও নিরাপদ উপায়ে।
1. আনারসের রস কি সত্যিই হেয়ারফল কমায়?
হ্যাঁ, আনারসের ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্ক্যাল্পকে পুষ্টি দিয়ে হেয়ারফল কমাতে সাহায্য করে।
2. কতদিনে ফল দেখা যায়?
সাধারণত ২–৩ সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার করলে উন্নতি বোঝা যায়।
3. কি শুধু স্ক্যাল্পেই লাগাতে হবে?
স্ক্যাল্পে লাগানো সবচেয়ে কার্যকর, তবে চুলের ডগায় লাগালে ড্যামেজ কমে।
4. কী ধরনের চুলে এটি ব্যবহার করা যায়?
ড্রাই, ওয়েলি, ড্যামেজড—সব ধরনের চুলেই ব্যবহার করা নিরাপদ।
5. সেনসিটিভ স্ক্যাল্পে ব্যবহার করা যাবে?
হবে, তবে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া উচিত।

