ঘন জঙ্গলের নিস্তব্ধতা ভেঙে হঠাৎ গুলির শব্দ—আর সেখানেই লেখা হল মাওবাদী দমনের এক নতুন অধ্যায়। ওডিশার কন্ধমাল জেলায় বড়সড় এনকাউন্টারে শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার সহ মোট পাঁচজন মাওবাদীর মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) ও ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টিয়ার ফোর্স (DVF)-এর যৌথ অভিযানে এই সাফল্য আসে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে কন্ধমাল ও কালাহান্ডি জেলার সীমান্তবর্তী তুমুদিবন্ধ ও বেলঘর থানার জঙ্গল ঘিরে ফেলা হয়। এরপরই শুরু হয় দীর্ঘক্ষণ ধরে গুলিবিনিময়।
নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় পাঁচজন মাওবাদী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি অত্যাধুনিক একে-৪৭ রাইফেল, বিপুল কার্তুজ ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। এই উদ্ধার হওয়া অস্ত্রই ইঙ্গিত দিচ্ছে কতটা সুসংগঠিত ছিল ওই মাওবাদী স্কোয়াড।
নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম গণেশ উইকে। দীর্ঘদিন ধরে ছত্তিশগড়–ওডিশা সীমান্তে মাওবাদী কার্যকলাপ পরিচালনার মূল মাথা হিসেবেই পরিচিত ছিল সে। তার মাথার উপর মোটা অঙ্কের পুরস্কারও ঘোষণা করা ছিল। নিরাপত্তা সূত্রের মতে, তার মৃত্যুর ফলে সংগঠনের নেতৃত্বস্তরে বড়সড় ফাঁক তৈরি হল।
মাওবাদী দমনে কেন্দ্রের জিরো টলারেন্স নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক আত্মসমর্পণ ও এনকাউন্টারে নিহত হওয়ার ঘটনায় ওডিশায় মাওবাদী সংগঠন ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। উন্নয়ন ও কড়া নিরাপত্তার চাপে ‘লাল করিডর’ যে সঙ্কুচিত হচ্ছে, কন্ধমালের এই ঘটনা তারই স্পষ্ট প্রমাণ।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: কন্ধমাল এনকাউন্টার কোথায় হয়েছে?
উত্তর: কন্ধমাল ও কালাহান্ডি জেলার সীমান্তবর্তী তুমুদিবন্ধ ও বেলঘর থানার জঙ্গলে।
প্রশ্ন ২: মোট কতজন মাওবাদী নিহত হয়েছে?
উত্তর: এই এনকাউন্টারে মোট পাঁচজন মাওবাদী নিহত হয়েছে।
প্রশ্ন ৩: নিহত শীর্ষ মাওবাদী নেতার নাম কী?
উত্তর: নিহত শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডারের নাম গণেশ উইকে।
প্রশ্ন ৪: কোন বাহিনী এই অভিযান চালায়?
উত্তর: SOG ও DVF-এর যৌথ বাহিনী এই অভিযান চালিয়েছে।
প্রশ্ন ৫: এই অভিযানের গুরুত্ব কী?
উত্তর: এই অভিযানে মাওবাদী নেতৃত্ব স্তরে বড় ধাক্কা লেগেছে, যা সংগঠন দুর্বল করবে।

