ওডেসায় ভয়াবহ রুশ আক্রমণ, বিদ্যুৎহীন হাজার হাজার মানুষ

Published By: Khabar India Online | Published On:

গভীর রাতের নীরবতা ভেঙে হঠাৎই বিস্ফোরণের শব্দ—অন্ধকারে ডুবে গেল ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর ওডেসা। মধ্যরাতে রুশ বাহিনীর হামলায় শহরজুড়ে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের কৌশলগত শহর ওডেসায় সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতের এই হামলায় বন্দর ও জ্বালানি অবকাঠামোর একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ কিপার জানান, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি ওডেসা অঞ্চলে দ্বিতীয় রুশ হামলা।

হামলার ফলে একটি বড় বন্দরে আগুন লাগে এবং হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। জরুরি সেবা সংস্থাগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষয়ক্ষতি সামাল দেওয়ার কাজ শুরু করে। প্রাথমিকভাবে বড় ধরনের প্রাণহানির খবর না মিললেও অন্তত একজন আহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা বলেন, রাশিয়া পরিকল্পিতভাবে বন্দর ও জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাচ্ছে, যাতে সামুদ্রিক পরিবহণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। তাঁর মতে, এটি কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের চলাচল সীমিত করার কৌশলের অংশ।

তিনি আরও জানান, সর্বশেষ হামলায় পিভডেনি বন্দরে আগুন লাগে। সেখানে সংরক্ষিত প্রায় ৩০টি কনটেইনারে থাকা ময়দা ও ভোজ্য তেল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। জ্বালানি অবকাঠামোর ক্ষতির কারণে ওডেসা অঞ্চলের এক লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া ওডেসা বন্দর ও আশপাশের এলাকায় হামলা বাড়িয়েছে। এর লক্ষ্য কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের রসদ চলাচল বন্ধ করা এবং প্রতিবেশী মলদোভার দিকে গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ পথ ব্যাহত করা। এদিকে পাল্টা জবাবে ইউক্রেনও রাশিয়ার সামুদ্রিক সরবরাহ ব্যবস্থায় হামলা জোরদার করেছে।

প্রশ্ন ও উত্তর 


প্রশ্ন ১: ওডেসায় হামলাটি কবে হয়েছে?
উত্তর: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর গভীর রাতে এই হামলা চালানো হয়।

প্রশ্ন ২: হামলায় সবচেয়ে বেশি কী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?
উত্তর: বন্দর এলাকা ও জ্বালানি অবকাঠামো, যার ফলে বড় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।

প্রশ্ন ৩: কত মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে?
উত্তর: এক লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে।

প্রশ্ন ৪: হতাহতের কোনো খবর আছে কি?
উত্তর: অন্তত একজন আহত হয়েছেন, তবে বড় ধরনের প্রাণহানির খবর নেই।

প্রশ্ন ৫: রাশিয়ার লক্ষ্য কী বলে ইউক্রেন দাবি করছে?
উত্তর: সামুদ্রিক পরিবহণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত করা এবং কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের চলাচল সীমিত করা।