যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেই বহুচর্চিত বিশৃঙ্খলার ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল। লিওনেল মেসির কলকাতা সফরের অনুষ্ঠান ভেস্তে যাওয়ার দায়ে মোট গ্রেপ্তার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয়ে। বিধাননগর পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ধৃত সকলকে আদালতে তোলা হবে।
এই ঘটনায় প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। পরে স্টেডিয়াম ভাঙচুরের অভিযোগে শুভপ্রতিম দে ও গৌরব বসুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তে সামনে আসা সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে রবিবার আরও তিনজন—বাসুদেব দাস, সঞ্জয় দাস ও অভিজিৎ দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধেও যুবভারতীতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারা সরাসরি ভাঙচুরে জড়িত ছিল এবং কারা বিশৃঙ্খলা উসকে দিয়েছিল, তা খুঁজে বের করাই এখন তদন্তের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি আরও ছ’জনকে নোটিস পাঠানোর প্রস্তুতিও চলছে।
উল্লেখ্য, শনিবার যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানে প্রবল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। মাত্র ২৩ মিনিট মাঠে থাকার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে যান বিশ্বকাপজয়ী তারকা। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটা সমর্থকেরা প্রিয় ফুটবলারকে ঠিকমতো দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এরপরই স্টেডিয়ামে শুরু হয় ভাঙচুর, আগুন লাগানো ও চেয়ার ভাঙার মতো ঘটনা।
এই ঘটনার পরই মেসির ভারত সফরের কলকাতা অধ্যায় কার্যত ব্যর্থ বলে ধরা হচ্ছে। অন্যদিকে, হায়দরাবাদ ও মুম্বইয়ে মেসির অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে।
1. যুবভারতী কাণ্ডে মোট কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে?
এখনও পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
2. মূল উদ্যোক্তা কে ছিলেন?
মেসির অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন শতদ্রু দত্ত।
3. গ্রেপ্তারের মূল অভিযোগ কী?
স্টেডিয়াম ভাঙচুর এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ।
4. পুলিশ কীভাবে তদন্ত চালাচ্ছে?
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
5. মেসি কেন অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যান?
নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কারণে মাত্র ২৩ মিনিটের মধ্যেই মাঠ ছাড়েন তিনি।

