অজান্তেই বাড়ছে পুরুষদের হরমোন সমস্যা! চিনে নিন ৫টি লক্ষণ

Published By: Khabar India Online | Published On:

শরীর হঠাৎ আগের মতো সাড়া দিচ্ছে না? ক্লান্তি, মন খারাপ কিংবা আগ্রহ হারিয়ে ফেলার পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে বড় কোনো সংকেত। নারীদের পাশাপাশি এখন পুরুষদের মধ্যেও হরমোন ভারসাম্যহীনতা নীরবে বাড়ছে, যা অনেকেই বুঝতে পারছেন না।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়ার প্রবণতা আগের তুলনায় দ্রুত বাড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে যৌন জীবন, কর্মক্ষমতা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রায়। তাই প্রাথমিক লক্ষণগুলো চেনা অত্যন্ত জরুরি।

যৌন আগ্রহ কমে যাওয়া
টেস্টোস্টেরন কমে গেলে যৌন ইচ্ছা হ্রাস পায়। ইরেকশন ধরে রাখতে সমস্যা বা যৌন সম্পর্কে অনীহা দেখা দিলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

অতিরিক্ত ক্লান্তি ও শক্তির অভাব
পর্যাপ্ত ঘুমের পরও যদি সারাদিন অবসাদ থাকে, অল্প কাজেই ক্লান্ত লাগে, তাহলে এটি হরমোন ঘাটতির ইঙ্গিত হতে পারে।

পেশি কমে যাওয়া ও শক্তি হ্রাস
ব্যায়াম সত্ত্বেও পেশি শক্ত না হওয়া বা আগের মতো শক্তি না পাওয়া টেস্টোস্টেরন কমার লক্ষণ।

মেজাজের পরিবর্তন
অকারণে রাগ, হতাশা বা মন খারাপ—এসবও হরমোন ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে জড়িত হতে পারে।

শরীরের চর্বি বৃদ্ধি
বিশেষ করে পেটের চারপাশে মেদ বাড়তে থাকলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার।

করণীয় কী?
নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাবার, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত ঘুম টেস্টোস্টেরন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ, সাপ্লিমেন্ট বা বিশেষ ক্ষেত্রে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেওয়া হয়। তবে সব চিকিৎসাই বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে হওয়া জরুরি।

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: টেস্টোস্টেরন কমে গেলে কি যৌন সমস্যা হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, যৌন আগ্রহ ও সক্ষমতা কমে যেতে পারে।

প্রশ্ন ২: কোন বয়সে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়?
উত্তর: সাধারণত ৩০ বছরের পর ঝুঁকি বাড়ে, তবে কম বয়সেও হতে পারে।

প্রশ্ন ৩: শুধু ক্লান্তি কি হরমোন সমস্যার লক্ষণ?
উত্তর: এককভাবে নয়, তবে অন্যান্য লক্ষণের সঙ্গে থাকলে গুরুত্ব দিতে হবে।

প্রশ্ন ৪: লাইফস্টাইল বদলালে কি উন্নতি সম্ভব?
উত্তর: অনেক ক্ষেত্রেই হ্যাঁ, নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক খাবারে উপকার হয়।

প্রশ্ন ৫: নিজের ইচ্ছায় সাপ্লিমেন্ট নেওয়া কি নিরাপদ?
উত্তর: না, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।