ব্রিগেডের মাটিতে রবিবারের গীতাপাঠ যেন রূপ নিল অপ্রত্যাশিত বিশৃঙ্খলায়। শুরু থেকেই বাড়তে থাকা ভিড় মঞ্চের দিকে ধেয়ে এলে তৈরি হয় চরম হুড়োহুড়ি, আর সেই পরিস্থিতি সামলাতে হতবাক নিরাপত্তা কর্মীরা।
মঞ্চের সামনে ক্রমাগত মানুষের চাপ বাড়ছিল। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও পিছন দিকে সরানো যাচ্ছিল না আগতদের। শেষমেশ এমন অবস্থায় পড়ে বাগেশ্বর ধামের প্রধান ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রীকে মাঝপথেই তাঁর বক্তৃতা থামিয়ে দিতে হয়। এর আগে ভাষণ দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, যিনি দুপুর সওয়া ১২টা নাগাদ ব্রিগেডে পৌঁছন।
রাজনৈতিক মহলেরও বড় জমায়েত ছিল এ দিন। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, তথাগত রায়, রাহুল সিংহ-সহ একাধিক নেতা। শুভেন্দু প্রথমে নির্দিষ্ট আসনে বসলেও ছবি তোলার ভিড় বাড়তেই পিছনের দিকে মাটিতে বসে পড়েন।
গীতাপাঠের জন্য তৈরি করা হয়েছিল তিনটি মঞ্চ। মূল মঞ্চের পাশাপাশি দুই পাশে ছিল ছোট মঞ্চ। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত সাধুসন্তদের উপস্থিতিতে শুরু হয় বেদপাঠ ও কীর্তন। পরে ১২টা নাগাদ গীতাপাঠ শুরু হয়। জানা যায়, গীতার প্রথম, নবম ও অষ্টাদশ অধ্যায় পাঠ করা হবে।
আয়োজক সনাতন সংস্কৃতি সংসদের দাবি, অন্তত পাঁচ লক্ষ মানুষ এ দিনের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরেও ব্রিগেডে বৃহৎ গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছিল, তখন লক্ষ্য ছিল এক লক্ষ পাঠক।
ভিড়ের চাপে কয়েক মুহূর্তের জন্য অনুষ্ঠান ব্যাহত হলেও পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে সকাল থেকেই বিশাল জনসমাগমে ব্রিগেড রীতিমতো উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
ব্রিগেডে বিশৃঙ্খলা কেন তৈরি হয়েছিল?
অতিরিক্ত ভিড় মঞ্চের কাছে পৌঁছতে চাইলে হুড়োহুড়ি শুরু হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠিন হয়ে ওঠে।বাগেশ্বর বাবার ভাষণ কেন থামাতে হয়?
ভিড় সামলাতে গিয়ে নিরাপত্তা কর্মীরা ব্যস্ত হয়ে পড়লে মাঝপথে তাঁর বক্তব্য স্থগিত করা হয়।কোন কোন অধ্যায়ের গীতাপাঠ হয়?
গীতার প্রথম, নবম ও অষ্টাদশ অধ্যায় পাঠ করা হয়।কোন কোন রাজনৈতিক নেতা উপস্থিত ছিলেন?
শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপির একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।আয়োজকদের দাবিতে কত মানুষ অংশ নিয়েছেন?
আয়োজকদের দাবি, প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ এই গীতাপাঠে যোগ দিয়েছেন।

