ভোটের আগে রাজ্যের রাজনীতিতে যেন নতুন উত্তাপ। মাত্র দু’মাস পরেই সম্ভাব্য নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ, আর তার মাঝেই ভবানী ভবনের বৈঠকে উঠল জোট সমীকরণের বড় বার্তা।
সূত্রে জানা যায়, বামফ্রন্টের কৌশল নির্ধারণী সভায় কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আপত্তি তোলে কয়েকটি শরিক দল। তাদের দাবি— এবার প্রয়োজন ‘বৃহত্তর বাম ঐক্য’। আলোচনায় উঠে আসে সিপিআই(এমএল)-লিবারেশন ও এসইউসিআইয়ের নামও। সিপিআইয়ের এক রাজ্য কমিটির সদস্য জানান, বিহার ভোটে কংগ্রেসের ভূমিকা তাদের স্পষ্টই বিরক্ত করেছে। তাঁর কথায়, “যেখানে আমাদের শক্ত ঘাঁটি, সেখানে কংগ্রেস ডিস্টার্ব করেছে।”
আইএসএফ নিয়ে ফ্রন্টের অবস্থান স্পষ্ট— ন্যায্য আসন বণ্টন মেনে নিলে সমস্যা নেই, কিন্তু যাদবপুর বা ডায়মন্ড হারবারের মতো আসন দাবি করলে জোটের দরজা বন্ধ।
সম্প্রতি নৈহাটির সভায় বামপন্থী দলগুলি ‘বামপন্থার পুনর্জাগরণ’-এর ডাক দিয়েছিল। সেই আবহেই ফের জোরদার হল ঐক্যের দাবি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, তপন হোড়, নরেন চট্টোপাধ্যায়সহ অন্যান্য নেতারা। সিদ্ধান্ত হয়েছে— এসইউসিআই ও লিবারেশনের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনার দায়িত্ব নেবেন বিমান বসু।
ওদিকে কংগ্রেস জানিয়েছে, তারা ২৯৪টি আসনেই লড়বে। প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের বক্তব্য— রাজ্যজুড়ে লড়াই চাই কর্মীরা, তাই সেটাই অগ্রাধিকার। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক গুলাম মীরও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। ফলে বাম–কংগ্রেস জোট এবার কার্যত অনিশ্চয়তায় ঝুলছে।
এসইউসিআই অবশ্য জানিয়েছে, জোট নিয়ে এখনো কোনও আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব তাদের কাছে আসেনি। তাই প্রশ্ন রয়ে যায়— ভোটের আগে কি গড়ে উঠবে নতুন বাম জোট? নাকি ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিকেই এগোবে রাজ্য রাজনীতি?
বামফ্রন্ট কেন নতুন ঐক্যের কথা বলছে?
বাম শিবির মনে করছে, বৃহত্তর বাম ঐক্যই ভোটে শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে।কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার কারণ কী?
বামেরা অভিযোগ করছে, বিহারে কংগ্রেস তাদের শক্ত এলাকায় প্রভাব কমিয়েছে।আইএসএফকে নিয়ে বামফ্রন্টের আপত্তি কী?
আইএসএফ যদি যৌক্তিক আসন চায়, জোটে সমস্যা নেই; অযৌক্তিক দাবি করলে দরজা বন্ধ।কংগ্রেস কেন ২৯৪টি আসনেই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
তাদের দাবি, রাজ্যজুড়ে লড়াইয়ের জন্য কর্মীদের মতামতই মেনে চলা হচ্ছে।নতুন বাম জোটের সম্ভাবনা কতটা?
আলোচনা শুরু হলেও এখনও নিশ্চিত নয়; রাজনীতির সমীকরণ বদলাতে পারে যেকোনো সময়।

