শুধু ভালোবাসা নয়, স্বাস্থ্যেরও চাবিকাঠি ‘চুম্বন’

Published By: Khabar India Online | Published On:

এক মুহূর্তের স্পর্শ, অথচ প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী—একটি ‘চুম্বন’ শুধু ভালোবাসার প্রকাশই নয়, সুস্থতার নীরব বার্তাও বয়ে আনে। আধুনিক জীবনের ব্যস্ততায় আমরা প্রায়ই ছোট ছোট আবেগের প্রকাশ ভুলে যাই, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ছোট্ট অভ্যাসই হতে পারে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের বড় চাবিকাঠি।

চুম্বন মানুষের আবেগীয় সংযোগকে গভীর করে। প্রিয়জনের সঙ্গে স্নেহপূর্ণ চুম্বন বিশ্বাস, ঘনিষ্ঠতা ও নিরাপত্তাবোধ বাড়ায়। দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্কে এটি এক ধরনের ইতিবাচক যোগাযোগ, যা সম্পর্ককে আরও উষ্ণ ও প্রাণবন্ত রাখে।

স্বাস্থ্যের দিক থেকেও চুম্বনের উপকারিতা কম নয়। চুম্বনের সময় শরীরে অক্সিটোসিন, এন্ডরফিন ও এড্রিনালিনের মতো হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মানসিক চাপ কমায়, উদ্বেগ দূর করে এবং মুড ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে হাইপারটেনশন কমার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বাড়ে।

নিয়মিত চুম্বন রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। পাশাপাশি লালারসের আদান-প্রদানের মাধ্যমে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বলেও গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে। দাঁতের ক্ষয় কমানো, ব্যথা উপশম এবং মুখের পেশির ব্যায়াম হিসেবেও চুম্বনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

চুম্বন একপ্রকার হালকা ব্যায়াম। এতে ক্যালোরি বার্ন হয়, মুখের পেশি সক্রিয় থাকে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এমনকি হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতেও এর ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে বলে মত গবেষকদের। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সব কিছুর মতো চুম্বনের ক্ষেত্রেও সংযম জরুরি।

ব্যস্ত জীবনের মাঝে প্রিয় মানুষের জন্য সময় বের করে নেওয়া সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার অন্যতম উপায়। একটি ‘চুম্বন’ হয়তো ক্ষণিকের, কিন্তু তার প্রভাব থেকে যায় মনে, সম্পর্কে এবং সুস্থতায়।

প্রশ্ন ও উত্তর

1. চুম্বন কি সত্যিই মানসিক চাপ কমায়?
হ্যাঁ, চুম্বনের সময় নিঃসৃত হরমোন মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।

2. চুম্বন কি হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো?
গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত চুম্বন হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়ক হতে পারে।

3. চুম্বনে কি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে?
লালারসের আদান-প্রদানের মাধ্যমে ইমিউনিটি বাড়তে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।

4. চুম্বন কি ব্যায়ামের মতো কাজ করে?
চুম্বনের সময় মুখের একাধিক পেশি সক্রিয় হয় এবং ক্যালোরি বার্ন হয়।

5. বেশি চুম্বন কি ক্ষতিকর হতে পারে?
সব কিছুর মতোই অতিরিক্ত হলে আনন্দ ও প্রভাব কমতে পারে, তাই সংযম জরুরি।