সারাদিন পেট হালকা ও আরামদায়ক রাখার রহস্য লুকিয়ে আছে আপনার প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাসে। অনেক সময়ই আমরা বুঝে উঠতে পারি না—ঠিক খাবার না খাওয়া, জল কম পান করা বা রুটিন না মানার কারণে হজমের সমস্যা আরও বেড়ে ওঠে। তাই পেট ভালো রাখতে আপনাকে মাত্র কয়েকটি সহজ কাজ নিয়মিত করতে হবে।
সকালের শুরুটা হোক হালকা ডিটক্স জল দিয়ে। লেবু, আদা বা জিরা মিশ্রিত হালকা গরম জলে খালি পেটে পান করলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই ডিটক্স হয়, হজমশক্তি বাড়ে এবং দিনব্যাপী পেট থাকে আরামদায়ক।
এরপর খাদ্যতালিকায় যোগ করুন প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার—যেমন দই, বাটারমিল্ক, ইডলি, গাঁজানো ভাত অথবা ঘরোয়া আচার। এগুলো অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজমকে সহজ করে এবং পেট ফুলে যাওয়া কমায়।
চিনি ও ক্যাফেইনের অতিরিক্ত ব্যবহার ধীরে ধীরে কমিয়ে দিন। অনেকেরই চা-কফির পরিমাণ বেশি হওয়ায় অ্যাসিডিটি বাড়ে। এর বদলে আদা চা, ক্যামোমাইল বা মৌরি চায়ের মতো ভেষজ পানীয় বেছে নিলে শরীরের প্রদাহ কমে এবং হজমও আরামদায়ক থাকে।
খাবার হিসেবে অগ্রাধিকার দিন হালকা ও আঁশযুক্ত খাবারকে। শাকসবজি, ডাল, স্যুপ কিংবা খিচুড়ি পেটের ওপর চাপ কমায়। এছাড়া ওটস, স্প্রাউট বা ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার অন্ত্রে স্বাভাবিক গতিবিধি ধরে রাখে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—খাবারের সময় ঠিক রাখা। অনিয়মিত সময়ে খেলে শরীরের হজমের ছন্দ নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং রাতের খাবার শেষ করুন ঘুমানোর অন্তত ২–৩ ঘণ্টা আগে। এতে পেট আরাম পায় এবং হজম প্রক্রিয়া আরও স্বাভাবিক থাকে।
1. সকালে কোন ডিটক্স পানীয় সবচেয়ে ভালো?
লেবু-গরম জলে বা আদা-জিরা মিশ্রিত জল সবচেয়ে কার্যকর।
2. প্রোবায়োটিক কতদিন খেলে ফল পাওয়া যায়?
নিয়মিত কয়েক সপ্তাহ খেলে পেটের সমস্যার উন্নতি দেখা যায়।
3. চা-কফি কমালে কি সত্যিই অ্যাসিডিটি কমে?
হ্যাঁ, কারণ ক্যাফেইন পাকস্থলীতে অ্যাসিড বাড়ায়।
4. পেট ফুলে যাওয়া কমাতে কোন খাবার বেশি কার্যকর?
ওটস, ডাল, ভেজিটেবল স্যুপ এবং ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার।
5. রাতে খাবারের সঠিক সময় কখন?
ঘুমানোর কমপক্ষে ২–৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করা উচিত।

